এক লক্ষর বেশি টাকা ভর্তি ব্যাগের মালিক কে? টিকিট পরীক্ষক টাকা উদ্ধার করার পর থেকেই মালিকের খোঁজ পাচ্ছে না,রেল।ওই টিকিট পরীক্ষকের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট প্রশংসায় রেলের কর্তারা।

Spread the love

এবার দু-এক টাকা নয় এক লক্ষ টাকা। ট্রেনের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় পেলেন ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক। ব্যাগ ভর্তি টাকা পাওয়ার পর, ওই টাকা কার? সেটার খোঁজ করেও পেলেন না টাকার মালিককে। বিষয়টি এখানে থেমে থাকেনি। টিকিট পরীক্ষক অসিত কুমার পাল ,অবশেষে টাকা জমা করে আরপিএফ এর কাছে।
৪ঠা এপ্রিল অসিত কুমার পাল যখন দুর্গিয়ানা এক্সপ্রেসে টিকিট পরীক্ষার কাজ চালাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি একটি পরিতক্ত ব্যাগ লক্ষ করেন। ব্যাগটি কার ছিল? জিজ্ঞাসা করতে রেলের ভ্রমণরত যাত্রীদের কেউ জানাতে পারেনি।এমনিতেই পরিতক্ত ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় টিকিট পরীক্ষকের। তিনি ব্যাগটি যখন খুলে দেখেন,ব্যাগের মধ্যে প্রচুর নোটের বান্ডিল রয়েছে। যেহেতু ব্যাগের কোনো মালিক নেই। সেহেতু তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অনুযায়ী ব্যাগটি নিজের দায়িত্বে নেন।
অবশেষে কলকাতা স্টেশনে ট্রেন পৌঁছানোর পর, ব্যাগটি আরপিএফ এর কাছে জমা দেন তিনি।ব্যাগের ভেতরে টাকার পরিমাণ হিসাব করে জানা যায়,১,০৩,৮২০ টাকা ছিল।ওই টাকার মালিক কে?সঙ্গে ব্যাগটির সঠিক মালিকের কাছে টাকাটি পৌঁছে পোঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে RPF কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনা রেলের গরিমাকে অনেকটা বাড়িয়ে তুলল বলে মনে করছে রেল কর্তারা। কারণ, বড় অংকের টাকা পেয়েও ,টিকিট পরীক্ষক অসিত কুমার পাল কিছু না লুকিয়ে সঠিকভাবে জমা দিয়েছেন। এটা আবার প্রমাণ করল যে, রেলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা যথেষ্ট উন্নত। এই বিষয়ে রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার ( শিয়ালদহ) শ্রী জয় শ্রীরাম মিনা বলেন” আমাদের কর্মীদের সততা ও নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি।”
শিয়ালদহ ডিভিশন রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম বলেন” আমরা আমাদের এমন কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা যাত্রীদের কল্যাণে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রী অসিত পালের এই পদক্ষেপ রেলওয়ের মূল্যবোধ এবং সেবার মানকে তুলে ধরবে।”
তবে রেলের নিরাপদ ভ্রমনের প্রশংসা করছে সবাই।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *