গতকাল উত্তর কলকাতায় কিষান মোর্চার উদ্যোগে বিজেপি সদস্য পদ সংগ্রহ কর্মসূচি হল। সদস্য বাড়লেও ভোট বাক্সে বাড়ছে না কেন?

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা :২০২৬ সালকে লক্ষ্য রেখে বিজেপি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিজেপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচীতে নেমেছে। গতকাল উত্তর কলকাতার হরি ঘোষ স্ট্রিটে, উত্তর কলকাতা জেলা কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে সদস্য সংগ্রহের অভিযানে নামে।এই অভিযানে রীতিমতো সাধারণ মানুষের মধ্যে সদস্যপদ গ্রহণের প্রবণতা দেখা গেল।
ওই কর্মসূচির মূল উদ্যোগ ছিল উত্তর কলকাতার জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি চন্দন প্রামাণিকের। তার বক্তব্য ,সাধারণ মানুষকে বলার আগেই অনেকেই স্বেচ্ছায় এসে সদস্য পদ গ্রহণ করছেন। এই সদস্য পদ মূলত এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকেই অ্যাপ এর মাধ্যমে সংগ্রহ হচ্ছে। তবে এক কোটি সদস্যপদ সংগ্রহ যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ,তার অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বিজেপি।লক্ষ্য ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন।

যদিও বিজেপির তরফ থেকে এর আগেও তাদের আত্ম সমালোচনার মধ্যে উঠে এসেছে, বিজেপির সদস্য পদ বাড়লেও, সেটি ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হচ্ছে না। যদিও বিজেপি এটা নিয়ে আর একটি তথ্য দিয়েছে। নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
তবে এখনো পর্যন্ত যে ,সদস্যপদ নিলেও বিজেপিকে ভোট দিতেই হবে। এরকম প্রবণতা অনেকটা কম রয়েছে ভোটারদের মধ্যে।একটাই কারণ জনসংযোগের অভাব। তবে উত্তর কলকাতায় হরি ঘোষ স্ট্রীটে সদস্যপদ গ্রহণের সময় দেখা গেল, বিজেপি কর্মী এবং নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মানুষের আগের থেকে জনসংযোগ অনেকটা বেড়েছে। অন্যদিকে বিজেপি উত্তর কলকাতা জেলা কৃষাণ মোর্চার সভাপতি চন্দন প্রামানিক বলেন।, ` বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করছেন। চায়ের দোকানদার থেকে আরম্ভ করে ঠেলা ওয়ালা। তাদের সেরকম ভাবে বোঝাতে হয়নি। সঙ্গে সাধারণ মানুষ তো রয়েছে।`তবে এই শ্রেণীর মানুষ যেভাবে সদস্যপদ গ্রহণ করেছে, তাতে অনেকটাই অনুভব করা যাচ্ছিল যে, বাংলাদেশের অশান্ত পরিবেশ এ রাজ্যের মানুষকে কিছুটা অন্যমুখী হতে দেখা যাচ্ছে।
একটা বড় প্রশ্ন, বিজেপির সদস্য পদ গ্রহণ করলেও ভোট বাক্স পর্যন্ত কি এই মত যাবে? এই আবহে যদি ২০২৬ এর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট তৈরি হয়। তাহলে এ রাজ্যের সরকারি দলের পাল্লা অনেকটা হালকা হবে, বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *