শঙ্কু সাঁতরা : ডিমের দাম আবার নাগালে র বাইরে যাচ্ছে। দেশের বাইরে ডিম রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবু ও পোল্ট্রি মুরগির ডিম ৮ টাকা থেকে ৮:৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মুরগির ডিমের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত থেকে সাধারন মানুষ। অন্যদিকে দেশি হাঁস মুরগির ডিমেরও যোগান কমেছে অনেকটা। সব মিলিয়ে ডিসেম্বর মাস পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবার যে রকম ডিমের দাম বাড়তে থাকে। এবার সেই ছবিটা একটু অন্য রকম।
প্রতিবছরই ডিসেম্বর মাস এলে উৎসবের মরশুমে প্রত্যেকের মধ্যে কেক বানানোর প্রবণতা বাড়ে। তাই কেকের জন্য ডিমের চাহিদাটাও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। অন্যদিকে যে সমস্ত রাজ্যে অত্যধিক গরমের জন্য ডিম কম ব্যবহার হত। সেই সমস্ত রাজ্য গুলোতে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে ডিম খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। যার ফলে পশ্চিম বাংলায় যে পরিমাণ ডিম অন্যান্য মরশুমে আসত।সেই জোগান কিছুটা প্রতি বছরই কমে যেত। কিন্তু এবছর পোল্ট্রি মুরগির ডিম বাদে, দেশী হাঁস মুরগি ডিমের উৎপাদন চোখে পড়ার মত কমেছে। যার ফলে ডিমের দাম অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে রয়েছে।
তবে গত দুবছর পোল্ট্রি ডিমের দাম ছ’ টাকার নিচে নামেনি। এবছর ডিমের দাম ৮ টাকা থেকে ৮:৩০টাকা পৌঁছানোর পরেও ,ডিম ব্যবসায়ীদের দাবি পোল্ট্রি মুরগির ডিমের দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ১০ই ডিসেম্বরের পর থেকে ডিমের দাম আরো চড়া হতে পারে।
ডিমের মার্চেন্ট কিংবা ডিম ব্যবসায়ীদের ধারণা, সাধারণ বাড়িতে পালিত হাঁস মুরগির ডিমের উৎপাদন যদি না বাড়ে।তাই সেই ডিমের চাহিদার চাপটা এসে পড়ছে পোল্ট্রি মুরগির ডিমের ওপর। ছোট ছোট ক্ষেত্রে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি না করাতে পারলে, আগামী দিনে ৭ টাকার নিচে ডিম পাওয়া যাবে না, বলে দাবি ডিম ব্যবসায়ীদের।
ডিসেম্বরের ৩১তারিখ পর্যন্ত ডিমের দাম স্বাভাবিকভাবেই চড়া থাকবে। তবে তারপরে ডিমের দাম যে কতটা কমবে !সেটা নিয়েই এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাইছে না পশ্চিমবাংলার ডিম মার্চেন্টরা।