দিলীপ ঘোষের বিয়েতে তার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত থাকা সঙ্গীরা কেউই ছিলেন না। কেন?

Spread the love

ইন্ডিনিউজ24 ডেস্ক: গুড ফ্রাইডের দিনে দিলীপ ঘোষের বিয়ে বেশ সুন্দর ভাবেই কেটে গেল। যেরকম ভাবে সংবাদ মাধ্যমের আলোর ঝলকানি, তার সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষের শুভেচ্ছা ছিল। তবে দিলীপ ঘোষ চেয়েছিলেন সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর ভাবে খুব ছোট্ট করে বিয়েটা সেরে ফেলা হোক। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি। সংবাদ মাধ্যমের অতিথিদের সংখ্যা এত পরিমানেই ছিল, যার কারণে বিয়েটা বেশ জাঁকজমক হয়ে উঠেছিল।
দিলীপ ঘোষের সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত ,যে সমস্ত সঙ্গীরা থাকে। বিয়ে বাড়িতে তাদের কোথাও দেখা গেল না। একেক জনকে ফোন করলে, এক এক রকম বিষাদের সুর যেন তাদের গলায়। কেউ জানালেন নিজস্ব কাজে বাইরে রয়েছেন। কেউ জানালেন আত্মীয় মারা গেছেন। কেউ জানালেন তার শরীর ভালো নেই। বিয়েটা হল একেবারে দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ট লোকদের ছাড়াই! এই প্রশ্ন কিন্তু বিয়ের দিন থেকে এখনো পর্যন্ত বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রতিদিন প্রাতঃ ভ্রমণে গুলাব শিং নামে এক ব্যক্তি দিলীপ ঘোষকে অতি সকালে বাড়ি থেকে তার গাড়িতে করে নিয়ে ইকো পার্কে আসে। সেই গুলাব সিং ছিলেন না।
কেন?
যেদিন থেকেই রিংকু মজুমদার পাত্রী হিসাবে সামনে চলে এসেছেন। সেদিন থেকেই দিলীপ ঘোষের একদম কাছের মানুষ জনের অমত শুরু হয়েছে। তারা চেয়েছিলেন বিয়েটা অন্ততপক্ষে ‘২৬ পেরিয়ে হোক। তাদের যুক্তি ছিল, এই মুহূর্তে দিলীপ ঘোষের বিয়ে হয়ত দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক জীবনে আঘাত আনতে পারে।
কারণ, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে থাকা মানুষ জনেরা দীর্ঘদিন কেউ না কেউ কোনো না কোনো পদ আঁকড়ে বসে আছেন। দিলীপ ঘোষ, তিনি তার সোজা পথেই হাঁটেন। দিলীপ বাবুর মা এই বিয়েটা স্থির করেছেন। তবে দিলীপ ঘোষ এবং রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে এটা যে একেবারে স্বাভাবিক উপায়ই হয়েছে। সেটা পরিষ্কার। কিন্তু দিলীপ বাবু ঘনিষ্ঠজনেরা তারা এলেন না কেন? অনেকের মত, পাত্রী পছন্দ নয় তাদের।
অন্যদিকে রিংকু মজুমদার দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। এক সময় একটি অভিজাত কোম্পানির ভালো জায়গায় চাকরি করতেন। তার মধ্যে একটি কর্পোরেট কালচার রয়েছে। দিলীপ বাবুর রাজনৈতিক জীবনে যে কর্পোরেট কালচার ছিল না। সেটা বোধহয় এবার ঢুকে পড়ল। যার ফলে দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক জীবন বোধহয় আরও গোছালো এবং সুদৃঢ় হতে চলেছে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *