নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্মবার্ষিকীতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর পোস্ট জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্যই তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু সেই শ্রদ্ধা অপমানে পর্যবসিত হয়।
রাহুল গান্ধী পোস্টে নেতাজীর মৃত্যুর তারিখের উল্লেখ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। রাহুলকে অর্বাচীন বলে আক্রমণ করেছেন নেতাজি নিজের তৈরি দল ফরওয়ার্ড ব্লক। তৃণমূল বিজেপি সকলেই সমালোচনার সুর চড়িয়েছেন। এর আগেও ২০১৯ সালে নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে রাহুল একই কাজ করেছিলেন। তখনো প্রবল বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে।
বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার রাহুল গান্ধীকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন , “লোকসভার বিরোধী দলনেতা নিজের পোস্টে যেভাবে নেতাজির মৃত্যু দিন ঘোষণা করে দিয়েছেন তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করার জন্য একাধিক কমিশন গঠিত হয়েছে। শেষ যে কমিশন মত দিয়েছে তাদের মতে ওই দিনটা নেতাজির মৃত্যু দিন নয়। তারপরেও বিরোধী দলনেতার মত পদে বসে থাকা ব্যক্তি যে কাজ করলেন তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না । গোটা দেশের কাছে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেছেন, ” নেতাজি সম্পর্কে যে অন্তর্ধান রহস্য কথাটা ব্যবহার করা হয়, কোন বিমান দুর্ঘটনা ঐদিন আদৌ ঘটেছিল কিনা ,তাতে আদৌ কারোর মৃত্যু হয়েছিল কিনা তার কোন প্রমাণ নেই। বরং এর পরের অনেকটা ঘটনা অকথিত রয়েছে । সুতরাং ১৯৪৫ এর ১৮ই আগস্ট নেতাজির মৃত্যু দিন বলে দেওয়া কখনই সমর্থনযোগ্য নয়।” কুনাল আরো বলেন, ” ক্ষমা শব্দ টা ব্যবহার করছি না । তবে রাহুল গান্ধীর উচিত নিজের বক্তব্য সংশোধন করা। নেতাজি আসলে ভারতের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।”
নেতাজির মৃত্যু দিন উল্লেখ করে বিতর্কে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী
