রবীন্দ্রনাথ মন্ডল : বকখালিতে পর্যটকদের গাড়ি পার্কিংয়ের দখল নেবে কে? আজ সকালে সেটা নিয়ে ধুম ধূমার কাণ্ড বেধে গেল বকখালিতে। এতদিন পর্যন্ত বকখালির গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা চালিয়ে আসছিল স্থানীয় ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত। শেষ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে পঞ্চায়েতে বিজেপির দখলে যায়। তারপর থেকেই পার্কিং দখল নিয়ে রীতিমতো পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে পঞ্চায়েতের একটা দড়ি টানাটানি শুরু হয়। সেই দড়ি টানাটানি আজ সকালে রীতিমত দর্শক জমিয়ে শুরু হয়, দখলের গন্ডগোল। রীতিমত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে নামতে হয় ময়দানে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। কারণ বকখালির মূল সমুদ্র সৈকতের সামনে বড় চর পড়ে যাওয়ার ফলে ,সমুদ্রটি অনেক পেছনে পিছিয়ে গেছে। যার ফলে সমুদ্র স্নান কিংবা সমুদ্রে জল স্পর্শ করতে গেলে পর্যটকদের অনেকটা দূর হেঁটে যেতে হচ্ছে। যার ফলে জিনিস পত্রের দাম একটু বেশি তো রয়েছেই। সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ফি’ এবার দ্বিগুণ করে দিল পঞ্চায়েত সমিতি।
পার্কিংয়ে আগে ছোট চার চাকা গাড়ি রাখলে ৬০ টাকা দিতে হত। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়াল ১০০ টাকা। বড় গাড়ির ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ছিল। সেটি বেড়ে করে দিল ২০০ টাকা। যার ফলে বকখালি বেড়াতে গেলে পর্যটকদের বাড়তি টাকার চাপ বাড়ল। এই পার্কিং ঘিরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি রোজগারের ব্যবস্থা ছিল ।সেই রোজগারে থাবা বসাল নামখানা পঞ্চায়েত সমিতি। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা থেকে আরম্ভ করে পঞ্চায়েত প্রধান। প্রত্যেকেই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ।
এই মুহূর্তে ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কয়েক কদম পিছিয়ে রয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মানুষের সংযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কারণ স্থানীয় স্তরে তৃণমূল নেতাদের রীতিমতো দুর্নীতি, সমুদ্র পাড়ের মানুষগুলোকে বিতশ্রদ্ধ করে তুলেছে। তবে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস আজ যেভাবে তার দলবল নিয়ে বকখালির গাড়ি পার্কিং জায়গাটি তাদের দখলে নিয়েছে। তবে এই বিষয় নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রতিবছর কোটি টাকার ওপরে পার্কিং ফিস ওঠে। দীর্ঘ বছর ধরে সেই পার্কিং ফি’র হিসাব নিয়ে নাকি একটা বড় গরমিল রয়েছে। আদতে ধাক্কা খেল বকখালীর পর্যটন।
