পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে চুপিচুপি বড় বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তৈরি হয়েছে ১৪০০ পেয়াঁজ সংরক্ষণ স্টোর, পেয়াঁজ উৎপাদন বেড়েছে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন।

Spread the love

শংকু সাঁতরা: পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজ্য গতবারের থেকে এবার অনেকটা এগিয়েছে। এছাড়াও পশ্চিমবাংলায় গত এক বছরে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ১৪০০ টি স্টোর হাউস তৈরি হয়েছে। আগে পিঁয়াজ উৎপাদন হলে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যার ফলে চাষিরা পিঁয়াজ চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এবার থেকে সেই আশঙ্কা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেল।
এই বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল টাস্ক ফোর্সের সদস্য ও হর্টি কালচারের ডাইরেক্টর কমল দে জানান,”গত বছর এ রাজ্যে সাড়ে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন পিঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর সেটা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও বছরে বিভিন্ন সময় পিঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়।এবার থেকে সেটা অতটা হবে না। এছাড়াও আগে এ রাজ্যে অন্য রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি হত ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন মত। সেই আমদানি টাও এবার কমবে। আগের থেকে এবার পেঁয়াজের আকার অনেকটাই ভালো হয়েছে এবং বাংলার পিঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে।”
পশ্চিম বাংলায় পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে নদিয়া জেলা অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। আগে যেখানে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হত। এখন সেটা আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন অধিক ফসল হচ্ছে। যারফলে বেশ কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের দামটা অনেকটাই কম রয়েছে। অন্যদিকে নাসিক এবং দক্ষিণ ভারতের পেঁয়াজ তুলনা মূলক কম আসছে এ রাজ্যের বাজারে। যার ফলে নাসিক এবং দক্ষিণের ব্যবসায়ীদের যে আধিপত্য ।সেই আধিপত্যটা অনেকটাই বাংলার বাজারে কমেছে।
কমল বাবু আত্মবিশ্বাসী, আগামী দিনে আরো উন্নত মানের পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজ চাষ এ রাজ্যে হবেই। রাজ্যে প্রয়োজনের পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। যার ফল হবে হঠাৎ করেই ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই পিঁয়াজ কিংবা তার বেশি হয়ে যাওয়া। সেটা আর না হওয়ার সম্ভাবনা থাকলই।


তিনি এও বলেন, আগে বাংলার পেঁয়াজ লম্বাটে হত। নাসিক কিংবা দক্ষিণের পেঁয়াজ গোল। যার ফলে নাসিকের পেঁয়াজটাকেই খরিদ্দাররা পছন্দ করত। গত দু-তিন বছর ধরে গোল পেঁয়াজটা নদিয়া ,বর্ধমান – এছাড়াও বেশ কিছু জেলায় চাষ হচ্ছে। সেটা সম্পূর্ণটাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তর এবং হটিকালচারের উদ্যোগেই শুরু হয়েছে। ফলে পেঁয়াজ চাষিরা স্বস্তি পাচ্ছে তাদের উৎপাদিত পিঁয়াজ বিক্রি করে। আগামী দিনে বড় কিছু প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা না হলে, এ রাজ্যের পেঁয়াজ অন্য রাজ্যের রপ্তানি হবে, বলে আশাবাদী কমল দে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *