নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিমের দেশ গুলোতে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ আবিষ্কার হলেই, সেটি ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে পাঠানো হয়। আর আমাদের মত দেশের ডাক্তার বাবুরা, সেই ওষুধ মুড়ি মুড়কি মত প্রেসক্রিপশন করেন। কিছুদিন পরে জানা যায়, ওই ওষুধ গুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্যাস, মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। শরীর সুস্থ করার পরিবর্তে, ক্রমেই আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে একগুচ্ছ ওষুধ। সম্প্রতি সেন্ট্রাল ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি আবারও নিম্নমানের ওষুধের তালিকা প্রকাশ করল। এরমধ্যে ডায়াবেটিসের ওষুধ থেকে, কাফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকের মতো একগুচ্ছ ওষুধ রয়েছে।
সেন্ট্রাল ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি ৭১টি ওষুধের তালিকা প্রকাশ করেছে। যেগুলোর গুণগত মান অতি নিম্নমানের। পাশাপাশি একগুচ্ছ জাল ওষুধের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
একনজরে দেখে নিন এই ৭১টি নিম্নমানের ওষুধ কী কী-
নিউরোটেম এনটি, সেফুরক্সিম অ্যাক্সেটিল ট্যাবলেট আইপি ৫০০ মিলিগ্রাম, লোপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট আইপি, ফ্লক্সেজ ওজেড, উইন্টেল ৪০ ট্যাবলেট, মক্সিকা ২৫০, ফ্রুসেমাইড ইনজেকশন আইপি ২০ মিলিগ্রাম, ক্লোক্সাসিলিন সোডিয়াম ক্যাপসুল আইপি ২৫০ মিলিগ্রাম, ফ্লুরোমেথোলোন আই ড্রপ আইপি, পানলিব ৪০ ট্যাবলেট, বি সিডাল ৬২৫, ট্রিপসিন, ব্রোমেলাইন এবং রুটোসাইড ট্রাইহাইড্রেট ট্যাবলেট, সি মন্ট এলসি কিড ৬০ মিলি, যোগরাজ গুগ্গুলু ট্যাবলেট, টেলমিসার্টন ট্যাব আইপি ৪০ মিলিগ্রাম, প্যান্টোপ্রাজল ইনজেকশন বিপি ৪০ মিলিগ্রাম, গ্লিমেপিরাইড ট্যাব আইপি।
পাশাপাশি তামসুলোসিন এবং ডুটাস্টারাইড ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি ৩ ট্যাবলেট আইপি, প্যান ডি, ন্যান্ড্রোলোন ডেকানোয়াট ইনজেকশন আইপি ২৫ এমজি/এমএল ওষুধগুলিকে জাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ইদানিংকালে এলোপ্যাথি ওষুধের ওপর থেকে মানুষের ভরসা কমছে। সেই জায়গায় আমাদের দেশের প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্র আয়ুর্বেদ অনেকটা এগিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, আয়ুর্বেদ চিকিৎসার দিকেই বেশি করে মনোনিবেশ করতে।