ফ্রেজারগঞ্জে পাঁচ মাসে আত্মহত্যার সংখ্যা ২৬ জন।কারণ কি?

Spread the love

   নিজস্ব প্রতিনিধি :ফ্রেজারগঞ্জ অঞ্চল এক সময়ে কলেরার মত মহামারী সামলেছে। চৈত্র- বৈশাখ মাসে অনাহারে কাটিয়েছে প্রচুর মানুষজন। মোট পাঁচটি মৌজা নিয়ে ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েত।সেখানে ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে, মে মাস অবধি ওই পঞ্চায়েত এলাকাতে আত্মহত্যার সংখ্যা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। মাত্র সাড়ে চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে ২৬ জনের মত আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
আত্মহত্যার এই ভয়ংকর পরিস্থিতি রীতিমতো ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান নিয়ে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা সূত্র অনুযায়ী খবর, এ বছর এ পর্যন্ত ১৪ জন আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে শিরোভাগই প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে আত্মহত্যা। মৃতদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। জানা যায়,তারা প্রত্যেকেই নিজেদেরকে মোবাইল ফোনে বেশি করে নিয়োজিত রাখত।সব থেকে বড় কথা, প্রেমিক/ প্রেমিকার প্রতি ছোট সন্দেহ, তাদেরকে আত্মহত্যার দিকে টেনে নিয়ে গেছে।মৃতের আত্মীয়দের মতে,প্রত্যেকেই ক্ষণিকের সিদ্ধান্তেই এই পথ বেছে নিয়েছে।
এই বিষয়ে বিখ্যাত সাইক্রিয়াটিস্ট, ডাক্তার সব্যসাচী মিত্র গুরুত্বপুর্ন আলোকপাত করেছে যে, মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ কিংবা হতাশা তৈরি হওয়ার মূল কারণ হিসেবে দেখতে হবে। ওখানকার পানীয় জলে আর্সেনিক কিংবা লেডের মত পদার্থ রয়েছে কিনা? তিনি বলেন,’ ১।আর্সেনিক এবং লেড, যদি জলে মিশে থাকে। তাহলে সেখানকার মানুষজনের Depression, anxiety এবং অন্যান্য মানসিক অসুখের কারণ থাকতে পারে।২। কোন নির্দিষ্ট গ্রুপের ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি হচ্ছে কিনা? যেমন কেউ প্রেমের মধ্যে জড়িয়ে ফেলে পরবর্তীকালে টাকা পয়সা দাবি করছে কিনা? বেনিফিটস নেওয়ার পর, তাদের আত্মহননের পথে ঠেলে দিচ্ছেন কিনা? সেগুলি দেখার প্রয়োজন রয়েছে।’
ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতের অমরাবতী গ্রামের বাসিন্দা তরুণ কান্তি জানা জানান।’ এলাকায় জল পরীক্ষা করতে এলে দেখা গেছে ,নলকূপের জলে আর্সেনিকের নমুনা মিলেছে। সেই আর্সেনিক যুক্ত কল গুলিকে চিহ্নিত করে গেছে ,যারা পরীক্ষা করতে এসেছিল। তাই প্রচুর মানুষ এখন কেনা জল খাচ্ছে। কিন্তু সেই জলে যে আর্সেনিক নেই! সেটা কোনোভাবেই পরীক্ষা হচ্ছে না।
সঙ্গে কয়েকজন জানান,এলাকায় মানুষের চর্ম-রোগের পরিমাণ বাড়ছে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *