বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তা!

Spread the love

আটজন গার্ডকে হঠাৎ করে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ৩৯ জন স্টেট এডেড কলেজ টিচারের বা স্যাট টিচার দের বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হলো। শুক্রবার ওই ঘটনায় মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্টার কে ঘেরাও করল কলেজের গার্ড এবং স্যাট টিচাররা। তাদের অভিযোগ কোনরকম আলোচনা ছাড়াই টিচারদের বেতন বন্ধ করা হয়েছে। বেতনের স্ট্রাকচার কি হচ্ছে সে আলোচনা করা হয়নি টিচারদের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিচারদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়নি।পাশাপাশি পাঁচটি সাবজেক্ট তুলে দেওয়া হচ্ছে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ওই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে টিচাররা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্টার কে ঘেরাও করেন। অন্যদিকে গার্ডেদের অভিযোগ তারা দীর্ঘ ২৫-৩০ বছর ধরে রয়েছেন কৃষ্ণনাথ কলেজে। সেই কলেজ এখন ইউনিভার্সিটিতে পরিণত হয়েছে। ১৮ টাকা থেকে বেতন শুরু করে বর্তমানে প্রতিদিন ১০০ টাকা বেতনে কাজ করছিলেন তারা। সেই কাজ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে তাদের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর জানে আলম। উপাচার্য বলেন, কৃষ্ণনাথ কলেজ টেন্ডার করে ওই গার্ডদের নিয়োগ করেছিল। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন টেন্ডার ডেকে গার্ড নিয়োগ করছে। যারা কাজ থেকে বাদ যাচ্ছেন তারা পরবর্তী টেন্ডারে আবেদন করতে পারেন। পাশাপাশি কোন টিচারের বেতন আটকানো হয়নি, সবাই বেতন পাবেন তবে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে পাঁচটি বিষয়ে পড়াশোনা বন্ধ রাখা হয়েছে তার কারণ ওই বিষয়গুলির কোন অ্যাপ্রুভাল ছিল না। হায়ার এডুকেশনের কাছে অ্যাপ্রুভাল চাওয়া হয়েছে। সেই আপ্রুভাল হাতে পেলেই ওই পাঁচটি সাবজেক্ট চালু হয়ে যাবে। এছাড়া মর্নিং সেশন সম্পর্কে যে গুজব রটছে বন্ধ হয়ে যাবে বলে সেটা ঠিক নয় বলে জানান মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *