নিজস্ব প্রতিনিধি (কোলকাতা):কোলকাতা বড় বাজারের মূল ব্যবসায়িক কেন্দ্র মেহতা বিল্ডিং এবং বাগরি মার্কেট। এই দুটি বাজার সংলগ্ন আরো বেশ কিছু বাজার রয়েছে।আগেও যা ছিল,এখনো সেই ঘিঞ্জি রয়ে গেছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে বড় বাজারের নন্দরাম মার্কেট থেকে শুরু করে বাগরি মার্কেট ,মেহেতা বিল্ডিং ভয়ানক আগুনে পুড়ে গেছিল। যেখানে আগুন নেভাতে কয়েক দিন লেগে গেছিল। প্রশাসনিক ভাবে যেখানে সেখানে দাহ্য কেমিক্যাল এবং দাহ্য পদার্থ রাখা বারণ করা হয়েছিল। যেখানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার সতর্ক করেছিল পুলিশকে এবং পৌরসভাকে। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্ক বানী কোনো ভাবেই মানা হচ্ছে না।
বিল্ডিং থেকে নামার সিঁড়ি
বিশেষ করে ক্যানিং স্ট্রিট আমড়া তলার মত জায়গা গুলোতে, রাস্তা দখল করে মালপত্র স্তূপ করে রাখা থেকে আরম্ভ করে, দোকান এবং মালবাহী ভ্যানের জট রয়েছে। ওই এলাকা গুলি ব্যবসার জন্য ৭০% ব্যবহার হয়।আর ৩০% বিভিন্ন পরিবারের বসবাস রয়েছে। তার মধ্যে ২০% বয়স্ক মানুষেরা বাস করে ওখানে। কোনভাবে যদি অগ্নিকাণ্ড কিংবা অন্য কোন বিপদ হয়। অ্যাম্বুলেন্স ঢোকা তো দূরের কথা। সাধারণ ভাবে পায়ে হেঁটে নিয়ে যাওয়াটাও সম্ভব নয়।
এর আগেও বড়বাজার এলাকার বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরও দাবি ছিল, পুলিশের জন্য রাস্তা দখল হচ্ছে ।এবং রাস্তা দখল করে দোকান বসানো চলছে। আমড়া তলা এলাকার বাসিন্দা ঔরঙ্গজেব আলমগীর খান, তিনি নানা জায়গায় দরবার করেও এখনো পর্যন্ত কিছুই করতে পারেননি। তিনি জানান, তার বৃদ্ধ বাবা-মা হয়েছেন ।তাদেরকে রাস্তায় নামিয়ে পাইচারি করানো তো দূরের কথা !অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি নাই।
আমড়া তলা লেনে সাধারণ মানুষ হাঁটতে গেলে গুটিগুটি পায়ে এগোনো ছাড়া উপায় নেই। রাস্তায় প্লাস্টিকের মালপত্র কিংবা বিভিন্ন মালের বোঝা রাখা। কোথাও ফুটপাতে দোকান ।এই সমস্ত কিছু রয়েছে। অতি সত্বর যদি প্রশাসন থেকে ও গুলিকে নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে আসে। তাহলে আশু ভবিষ্যৎ হয়ত, আবার বড় ধরনের কোন বিপদের সংকেত দিচ্ছে।পূর্ব ঘটনা ক্রমে,আগাম আশঙ্কা থাকলেও,বিপদ না হলে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে নি।এটি যেন এই শহরের চলে আসা ঘটমান বর্তমান।
ঔরঙ্গজেব আলমগীর খান
ঔরঙ্গজেব আলমগীর খান, তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র থেকে আরম্ভ করে কলকাতা পুলিশ কমিশনার ।সবাইয়ের কাছেই দরবার করে আজও পর্যন্ত কোন সুরাহা পান নি। একটি শহর যখন পরিষ্কার এবং জট মুক্ত বানানোর চেষ্টা চলছে। তখন ব্যবসায়ীদের গোডাউন ভাড়া না করে রাস্তায় মালপত্র রেখে ব্যবসার প্রবণতা, রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে বড় বাজার থানা ঢিল ছড়া দূরত্বে। সেখানে রাস্তার উপর মালপত্র রেখে এইরকম ব্যবসা চলছে কিভাবে?