নিজস্ব প্রতিনিধি : দিন দুদিন আগে রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শহরে ঘুরে গেলেন। সেদিন বিজেপির অতিথি অভিনেতা, নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এক কোটি বিজেপি সদস্য বানানোর অঙ্গীকার করিয়ে নিলেন হল ভর্তি বিজেপি সমর্থকদের কাছ থেকে। যদিও মিঠুন চক্রবর্তীর, সেই ডাকে সম্মতি দেওয়ার চিৎকার অনেকটাই কম ছিল।
বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর ,ভাঙছে বিজেপি। বিজেপির অন্দরের খবর মেদিনীপুরের বিজেপি লবি এখন পশ্চিমবাংলার বিজেপি দলটার বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে, বিজেপির পুরোনো দিনের নেতারা ইতিমধ্যে কেউ চুপ করে গেছেন ।কেউ বা কোনোভাবে দলের প্রতি সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন না। এছাড়াও এরকম প্রচুর পুরনো বিজেপি কর্মীরা রয়েছেন। যারা বিজেপি ছেড়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে বিজেপির আইনজীবী সংগঠনের তরফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু হয়েছে। সামনে ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। সে গুলিতে নির্বাচনের ফল সরকার পক্ষের দলের দিকেই যাবে। সেটা স্বাভাবিক।
শুভেন্দু অধিকারীর ,সকাল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ, শুধুই আক্রমণ। এটা মেনে নিতে পারছেন না বিজেপির দলের বর্ষিয়ান বহু নেতারা।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা এবং লোকসভায় যতই সন্ত্রাস করে নির্বাচন করুক না কেন? এখনো একটা বড় অংশের ভোট ব্যাংক রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। নির্বাচনের সময় এমনও শোনা গেছে, সেই ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট দেবেন। কিন্তু তার ভোট তাকে নিজেকে দিতে দেওয়া হয় নি।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির একটা বড় অংশের যে অপছন্দের নেতা নয়, সেটা কানাঘুষো শুনলেই বোঝা যায়। আর জি করের, মত এত বড় ঘটনা কিংবা পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন বড় অপরাধের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও । তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্কে যদি আঘাত না পড়ে। তাহলে মনে রাখতে হবে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব – বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা অন্তর দিয়ে মানছেন না।
মসনদে কে বসবেন?