সত্যিই কি বাঁকুড়ায় ভূতের আড্ডা ? এইবার দশ বছর আগে মারা যাওয়া মৃতের নাম ভোটার তালিকায়।

Spread the love

রক্তিম ওঝা: মৃত্যু হয়েছে কারুর পাঁচ বছর আগে কারোর তো আবার ১০ বছর আগেও তাও ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাদের নাম। ঠিক এমনই ভুতুড়ে ভোটার দেখা গেছে এবার বাঁকুড়ায়। ঠিক কিছুই নাকি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভুয়ো ভোটারের বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কথা অনুসারে বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে ভুয়ো ভোটারদের খোঁজ চালাচ্ছে তৃণমূলের একাংশ নেতৃত্ব। এই দিন বাঁকুড়ার দু’নম্বর ব্লক এর মানকানালী গ্রামের পাশাপাশি আরও দুটি গ্রামে অভিযান চালায় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুটি গ্রামেরই বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে দেখেন তারা। দেখা যায় ওই গ্রামের ভোটার তালিকায় এইরকম বেশ কুড়ি থেকে ৩০ জনের নাম রয়েছে যারা কিনা প্রায় পাঁচ থেকে দশ বছর আগে মারা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ পরিবারের তরফে ভোটারদের মৃত্যুর তথ্য পঞ্চায়েতে প্রদান করলে রেশন সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিলেও ভোটার লিস্ট থেকে এখনো তাদের নাম বাদ দেয়া হয়নি এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

মৃত ভোটারদের নাম এভাবে ভোটার লিস্টে থেকে যাওয়া রীতিমতো সারা ফেলেছে গোটা রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে তৃণমূলের দাবি এখনো অনেক সরকারি দপ্তর গুলিতে বাম কর্মীদের প্রভাব রয়েছে আর ঠিক সেই বাম কর্মীরাই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই মৃত ভোটারদের নাম ভোটার লিস্টে রেখে দিয়েছে। এই বিষয়ে বামেদের পাল্টা দাবি তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজসের ঘটনা, গোটা রাজ্য জানে আর ভোটে চুরি করার বিষয়ও সিদ্ধহস্ত তৃণমূল। এখন নিজেদের ভুল ঢাকতে তারা এইসব করে বেড়াচ্ছে , কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হবে না বলে দাবি বাম কর্মীদের।বিজেপির দাবি রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজন করে থাকে। এক্ষেত্রে মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ না দিলে তার সম্পূর্ণ দায় রাজ্যের।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *