পাক বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গি যোগ?

Spread the love

জঙ্গি সন্দেহে মুর্শিদাবাদের নওদার দুর্লভপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন সাজিবুল ইসলাম। লক্ষ লক্ষ টাকা তার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। জানা যায়, সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করতো সাজিবুল। তাহলে তার অ্যাকাউন্টে এত লক্ষ টাকার লেনদেন কিভাবে হল এখন সেটাই খতিয়ে দেখার বিষয়।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাজিবুল নওদার বাসিন্দা। নওদার একটি স্থানীয় হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। পড়াশুনায় বেশ ভালই। অনলাইন ব্যাংকিংয়ের কাজেও সে তুখোড়।
সৌদি আরবে থাকাকালীন মামাতো ভাই সাদ রাদির সঙ্গে সাজিবুলের যোগাযোগ ছিল। সেই তথ্য পরিষ্কার প্রমাণ হয়ে যায় কল ডিটেলস থেকে। ইতিমধ্যেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য সাদ রাদি গ্রেফতার হয়েছেন। বাংলাদেশে বসে পশ্চিমবঙ্গের নাশকতার সব কোষে ছিলেন সাদ রাদি। প্রচন্ড সংসারের চাপে পরিযায়ী হয়েছিলেন সাজিবুল নাকি নাশকতার কাজে পরিযায়ীর মুখোশ ধারণ করেছিলেন।
জানা যাচ্ছে, এবিটি প্রধান জসিম উদ্দানি পশ্চিমবঙ্গের স্লিপার সেল সক্রিয় করা শুরু করেছিলেন রহমানী অর্থের যোগান দিয়ে। বাংলার উপর রহমানির নজর অনেক আগে থেকেই ছিল।

মুর্শিদাবাদের আব্বাস আলীর সঙ্গে সাজিবুলের যোগাযোগ হয় শাদ রাদির নির্দেশে। পাকিস্তানের সঙ্গেও সাজিবুলের যোগ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সম্ভাবনা ছিল এবিটি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের । তিল তিল করে সন্ত্রাসের মালা গাথা শুরু হয়েছিল। আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য আব্বাস আলী একটি মাদ্রাসা হলেন হরিহর পাড়ায়। গোয়েন্দা সূত্রে যাবি সেখানে চাঁদা তুলতে নওদায় ঘুরেছে আব্বাস আর সাজিবুল। সন্দেহ করা হচ্ছে বিভিন্ন পড়ুয়া জোগাড় করে ওই মাদ্রাসাতেই চলতো জঙ্গি প্রশিক্ষণ। খাগড়া ঘর কান্ডের অন্যতম তারিকুল ইসলামের হাত গোটা ঘটনার পেছনে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে পৌঁছয় অসম এস টি এফ এর আধিকারিকেরা। তারিকুলকে হেফাজতে চাইলেও তা খারিজ করেছে মুর্শিদাবাদের সি জে এম আদালত। আপাতত তারিকুল কে বেঙ্গল এস টি এফ এর ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *