শঙ্কু সাঁতরা: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চোরাই নীল কেরোসিন তেলের করবার চলছেই।পুলিশ রেড করলেও, এখনো পর্যন্ত কোনোভাবে আয়ত্তে আনতে
পারেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নীল কেরোসিন তেল সরবরাহ হয় সরকারি কন্ট্রোলের মাধ্যমে। আর সেই নীল কেরোসিন তেল বিভিন্ন কেরোসিন তেলের ডিলার থেকে আরম্ভ করে কেরোসিন তেলের এজেন্ট বাজারে অবৈধভাবে বিক্রি করছে। যার ফলে ,যারা এই চোরাই তেল ব্যবহার করছে তাদের হাতে অনায়াসেই চলে যাচ্ছে চোরাই পথে নীল কেরোসিন তেল।
বিভিন্ন মাধ্যমে নানা বার নীল কেরোসিন তেলের চোরাই কারবার সম্পর্কে সম্প্রচার হলেও, এখনো পর্যন্ত খাদ্য দপ্তরের সেরকম কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ৩০ শে নভেম্বর কাকদ্বীপের ‘স্ট্যান্ডার্ডস ট্রেডিংস ‘ নামে কেরোসিন তেলের এজেন্ট চোরাই ভাবে ৪৪০০ লিটার নীল কেরোসিন টেল বিক্রি করেছে বলে খবর।সেই তেল কাকদ্বীপ রথ তলার এক কেরোসিন তেলের ব্যবসায়ী ও কাকদ্বীপ নামখানা রোডের ফার্ম গেটের চোরাই নীল কেরোসিন তেলের কারবারি মহাদেব রানা কিনেছে।
এই মহাদেব রানার তেলের করবার ‘মোগাম্বো খুশ হুয়ার ‘ মতই দৃশ্য।তার দোকানে ঢুকলে দেখা যাবে তিনি লুব ওয়েলের ব্যবসায়ী ।যেটা বৈধ।দোকানের ভেতরে ঢুকল দেখা যাবে পেছনের দেওয়ালে যে আলমারির মত রয়েছে।সেটি লোহার কব্জা ও নিচে চাকা লাগানো রয়েছে। ওটি সরালেই ,সেই ‘ খুল যা সিম সিম ‘ এর মতই দৃশ্য দেখা যাবে ।ভেতরে হাজার হাজার লিটার কেরোসিন তেলের মজুত দৃশ্য।সূত্রের দাবি,এই ঘটনা পুলিশ জানে।তবে শুধু এই মহাদেব নয়।এরকম বেশ কিছু তেল মাফিয়া চালিয়ে যাচ্ছে এই করবার। আর মেষ-পালকের মত মেষ মাঠে ছেড়ে দিয়ে, গাছের ছায়ায় বসে ঘুম লাগানোর মতো করে ঘুমোচ্ছে মহকুমার ভারপ্রাপ্ত খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক।
তবে যে দপ্তরের এই তেল।যারা বণ্টন করছে।তাদের লোকেরাই চোরাই তেলের কারবার চালাচ্ছে।বন্ধ হবে কি করে? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
প্রাক্তন,খাদ্য মন্ত্রী খাদ্য দপ্তরের বণ্টন ব্যবস্থার কেলেঙ্কারি নিয়ে জেলে রয়েছেন।তাহলে সিবিআই তদন্তে কেন খাদ্য দপ্তরের বণ্টনের ব্যবস্থা উঠে আসছে না?সরকারি আধিকারিকরা কি নিপাতনে সিদ্ধ?বিশেষজ্ঞ মহলের এটাই ধারণা।