নিজস্ব প্রতিনিধি : জামিন পেয়ে গেল আর,জি,কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মন্ডল। জামিন পাওয়ার পরেই সিবিআই এর ভূমিকা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সিবিআই আদালতে ওই দুজনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীট জমা দিতে পারেনি। তাই আদালত, গতকাল দুজনের জামিন মঞ্জুর করে।
দুজনে জামিনের পরই আবার রীতিমতো অশান্ত হয়ে উঠেছে শহর কলকাতা। আজ দুপুরে স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (SFI )তরফ থেকে কলেজ স্ট্রিটে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে তারা অভয়ার সঠিক বিচারের দাবি করে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবি করে। সঙ্গে তারা দিদি এবং মোদি তত্ত্ব তুলে ধরতে ভুল করেনি।
সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মন্ডল ১৪ই সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয়েছিল। ১৪ ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ই সেপ্টেম্বর ৯০ দিন সম্পূর্ণ হয় দুজনের।সিবিআই এর তরফ থেকে সাপ্লিমেন্টারি জার্সিট জমা দেওয়ার কথা ছিল গতকাল। কিন্তু আদালতে সেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশীট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। যার ফলে, অভিজিৎ মন্ডলের আইনজীবী দাবি করেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট কিম্বা আর্থিক কোন দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ৯০ দিন হয়ে গেছে। যার ফলে তাকে জামিন দেওয়া হোক। অন্যদিকে একই সওয়াল করে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী।
আদালতে সিবিআই তরফের আইনজীবী জানান, সন্দ্বীপ এবং অভিজিতের মোবাইল ফোন ঘেঁটে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও এবং কিছু ফোন কল পাওয়া গেছে। যেগুলো সাক্ষীদের সঙ্গে প্রমাণ লোপাটের জন্য ঘটনার দিন ফোনে কথাবার্তা হয়েছিল। এছাড়াও ৫০০ ঘন্টার ভিডিও ফুটেজ সিবিআই দেখছে। কিন্তু সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট যে তারা দিতে পারেনি। সেটা আদালত তাদের জানিয়ে দেয় ।
অবশেষে ২০০০ টাকার বন্ডে দুজনকে জামিন দেয় আদালত। তবে সন্দীপ ঘোষ এই মুহূর্তে জেল মুক্ত হতে পারছেন না। তার বিরুদ্ধে সিবিআই এর কাছে আর্থিক তছরূপের আরেকটি মামলা রয়েছে। সেই মামলা থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত জামিন না পাবেন সন্দীপ ঘোষ।ততদিন জেল মুক্ত হতে পারছেন না। অভিজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে যেহেতু আর কোন অভিযোগ নেই। তাই তিনি জেল মুক্ত হতে পারবেন।শর্ত হল, তদন্তকারী অফিসার যখনই ডাকবেন। তখন তাকে হাজিরা দিয়ে দেখা করতে হবে।
এই সমস্ত কিছুর পরে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস আজ সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়ে। প্রত্যেকেই সন্দীপ ঘোষের মত অপরাধী জেল মুক্তি চাইছে না।দুজনের জামিন বাতিলের দাবী জানাচ্ছে সবাই।অন্যদিকে আবার শহর অশান্ত হয়ে ওঠার একটি কৌশল তৈরি হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তাররাও নতুন করে আন্দোলনের কথা ভাবছে, বলে জানা যাচ্ছে।