২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে প্রথম স্থান দখল করেছে আলিপুরদুয়ার

Spread the love

২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে সামগ্রীকভাবে আলিপুরদুয়ার জেলা গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে।

জেলা পরিষদ স্তরে সব থেকে ভালো খরচ করেছে কোচবিহার জেলা। আর পঞ্চায়েত স্তরে এই টাকা সব থেকে ভাল খরচ করেছে জলপাইগুড়ি জেলা।

অর্থাৎ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করার ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যে সব থেকে ভাল ফল করেছে উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলা।

শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে এসে এই কথা জানান রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ রায়। এদিন তিনি বলেন , “ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বীতিয় কিস্তির টাকা পেতে পেতে আমাদের মার্চ মাসের দ্বীতিয় সপ্তাহ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও আমাদের ভাল পরিকল্পনার জন্য এই টাকা আমরা খরচ করতে পেরেছি। জেলা পরিষদ স্তরে এই টাকা সব থেকে বেশি খরচ করেছে কোচবিহার জেলা পরিষদ। এই জেলা পরিষদ তাদের প্রাপ্য টাকার ৮২ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে গোটা রাজ্যে সব থেকে ভাল করেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা সামগ্রীকভাবে তিন স্তর মিলিয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছে।”

এছাড়াও মন্ত্রীর ঘোষণা গোটা রাজ্যে সব জেলাতে একটি করে শপিং মল তৈরি হবে। এই মলের দুটো তল স্বনির্ভরগোষ্ঠীর মহিলাদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য দিতে হবে। বাকি তল যে বিল্ডার এটা তৈরি করবেন তিনি ব্যবহার করবেন। এই শপিং মল তৈরির জন্য জমি দেবে রাজ্য সরকার। বিনামূল্যে এই জমি দেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য পঞ্চদশ অর্থকমিশনের মাধ্যমে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলাকে অর্থ প্রদান করে। বছরে দুবার এই অর্থ প্রদান করা হয়। জেলাতে আসা মোট অর্থের ৭০ শতাংশ টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে দেওয়া হয় । বাকি ৩০ শতাংশ টাকা ১৫ শতাংশ করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ স্তরে খরচের জন্য দেওয়া হয়। শুক্রবার কোচবিহার রবীন্দ্রভবনে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার এই তিন জেলার ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ রায়। এই বৈঠকে রাজ্যে কৃষি ও বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও ছিলেন। এই বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে আসেন। আলিপুরদুয়ারে এদিন একটি সৃষ্টিশ্রী স্টলের উদ্বোধন করেন দুই মন্ত্রী । জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার সামনেই উদ্বোধন হয় সৃষ্টিশ্রী স্টলের । এই স্টল আগেও চালু হয়েছিল। কিন্তু না চালাতে পারার কারণে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার ফের এই স্টলের উদ্বোধন করলেন দুই মন্ত্রী। এদিন জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অফিসের সামনেই এই স্টলের উদ্বোধন হয়। এই স্টলের উদ্বোধন করে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ রায় বলেন , “গোটা রাজ্যে সব জেলাতে একটি করে শপিং মল তৈরি হবে। এই মলের দুটো তল স্বনির্ভরগোষ্ঠীর মহিলাদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য দিতে হবে। বাকি তল যে বিল্ডার এটা তৈরি করবেন তিনি ব্যবহার করবেন। এই শপিং মল তৈরির জন্য জমি দেবে রাজ্য সরকার। বিনামূল্যে এই জমি দেওয়া হবে।” এদিন জেলা শাসক আর বিমলা বলেন, “ গোটা জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের উৎপাদিত দ্রব্য সঙ্ঘের মাধ্যমে এই স্টলে বিক্রি করতে পারবেন। “


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *