দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে চলতি মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। এই প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে যাতে কোন অশান্তি না হয় এবং জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে মহা কুম্ভ থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। ধর্মের টানে প্রচুর মানুষ কুম্ভে ছুটে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে যে স্মৃতি নিয়ে ফিরেছে তা যথেষ্ট দুঃখজনক। তা থেকেই শিক্ষা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক লোক মারা গেছে মহাকুম্ভে। তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। অতীত থেকেই শিক্ষা নিতে হয়।”
দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
১)এপ্রিলের ২৮ তারিখ থেকেই অনেকে পৌঁছে যাবেন। অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে এবং উৎসবের প্রতি মুহূর্তের ছবি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে ব্লকে ব্লকে এলইডি স্ক্রিন লাগানো হবে।
২) শিল্পপতিদের জন্য কনভেনশন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানেই থাকবেন তারা।
৩) স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা রয়েছেন কটেজের দায়িত্বে। তারা রান্না করে অতিথিদের খাওয়াবেন।
৪) যজ্ঞস্থানে অনুমতি প্রাপ্তরাই যেতে পারবে। আবে মোবাইল ও জুতো নিয়ে যাওয়া নিষেধ।
৫) দীঘায় রয়েছে তিনটি এয়ারকন্ডিশনার হ্যাঙ্গার। প্রথম হ্যাঙ্গারের জায়গা হবে ৬০০০ দর্শকের। পোডিয়াম হবে মূলত এখানেই।
এছাড়াও থাকছে আরো বিধি নিষেধ। সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকবে। হেল্প ক্যাম অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি থাকবে। দমকল বাইক রাখা হয়েছে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য দ্বৈতাপতি রাজেশ দ্বৈতাপতি ও তার পুরো টিম ২৯ তারিখ যজ্ঞে উপস্থিত থাকবেন। ৩০ এপ্রিল সকাল ১১ টায় দ্বারোদঘাটন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা। উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় থাকবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ২৭ তারিখ থেকেই দীঘায় থাকবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন সহ আরো অনেকে।