আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আই এস এস -এ পৌঁছে গেল এলন মাস্কের ‘ফ্যালকন ৯’ রকেট। সমস্ত উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে এই রকেটের মধ্যে থাকা ‘ক্রিউ ১০’ মহাকাশযানে ফিরতে পারবেন সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর।
এলন মাস্কের ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে চেপে গিয়েছেন চার নভোচর। কিরিল পেসকভের, তাকুয়া ওনিশি, নিকোল আয়ার্স ও অ্যান ম্যাকলেন। ইতিমধ্যেই তারা দেখা করেছেন সুনিতা ও বুচের সঙ্গে। এই চারজনকে সমস্ত কাজ বুঝিয়ে ওই মহাকাশযানেই পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন সুনিতা ও বুচ।
রবিবার সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ মহাকাশ স্টেশনে ‘ফ্যালকন ৯’ অবতরণ করে। অবতরণের পর মহাকাশযানের দরজা খুলতে সময় লাগে প্রায় এক ঘন্টা। সেখানকার সুরক্ষা, পরিবেশ সবকিছু পরীক্ষা করে অবশেষে ১০ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ দরজা খোলে মহাকাশযান ‘ফ্যালকন ৯’, এমনটাই নাসা সূত্রে খবর।
নাসা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার সুনিতা ও বুচ পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ভারতীয় সময় দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ। তাদের সঙ্গে রাশিয়ার আলেকজান্ডার গর্বুনভ ও নাসার নিক হগ পৃথিবীতে ফিরবেন। কিছুদিন আগেই এরা ড্রাগন মহাকাশযানে চেপে মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন।
গত বছর মে মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। নানা রকম সংশয়ের জন্য তাদের ফেরানো সম্ভব হয়নি। নাসাও কোন ঝুঁকি নেয়নি।আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর থেকে এলন মাস্কের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মহাকাশ স্টেশনে বন্দী সুনিতা ও বুচকে পৃথিবীতে ফেরানোর জন্য। টেসলা কর্তা তো করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এরপরেই মাস্কের সংস্থা “স্পেস এক্স” প্রস্তুতি শুরু করে। নাসার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল “ক্রিউ ১০” মিশন। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ভারতীয় সময় শনিবার ভোট সাড়ে ৪টে নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে “ফ্যালকন ৯” মহাকাশে পাড়ি দেয়।