দক্ষিণেশ্বরের পর কালীঘাট। কথা মতো পয়লা বৈশাখের আগেই তৈরি হয়ে গেল কালীঘাট স্কাইওয়াক। গোটা স্কাইওয়াকে আলোকসজ্জা। নবরূপে সুসজ্জিত কালীমন্দিরও। কালীঘাট স্কাইওয়াকের বৈশিষ্ট্য হল – স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য ৪৩৫ মিটার। প্রস্থ ১০.৫ মিটার। স্কাইওয়াকের ভেতরেই পুজোর ডালার দোকান। স্কাইওয়াক তৈরিতে খরচ ৮২ কোটি টাকা। মন্দিরের নতুন সোনার চূড়া তৈরি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৯৯ শতাংশ খরচে স্কাইওয়াক তৈরি হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সোমবার স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হয়। মমতা বলেন, হাজরা পার্কে অস্থায়ী হকার্স কর্নার করে দেওয়া হয়েছে। রিফিউজি হকার্স কর্নার বিল্ডিং। হকার্সদের দাবিতে এসি বিল্ডিং করা হয়েছে। স্কাইওয়াকের জন্য ২ টি চলমান সিঁড়ি, ৩ টি লিফট, ৩ টি সিঁড়ি। মূল প্রবেশ এবং প্রস্থান দ্বার হল – শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, হাজরা রোড, কালীঘাট রোড, মন্দির কমপ্লেক্স। এর কারণে মন্দিরে যাওয়ার জ্যাম অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কালীঘাটের দুধপুকুরের সংস্কার করা হয়েছে। তারাপীঠেও জায়গা পেলে স্কাইওয়াক করে দেওয়া হতো। ইতিমধ্যে তারাপীঠে নতুন গেট, ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গড়ে তোলা হয়েছে। ড্রেনেজ উন্নয়নও করা হয়েছে।
উদ্বোধন করার পর স্কাইওয়াক দিয়ে মন্দিরে যান মমতা। তারপর পুজো দেন কালীঘাট মন্দিরে।