সাধু সন্ন্যাসীরা শ্রেণি বৈষম্য থেকে দূরে নয়। কুম্ভ মেলার প্রাঙ্গণে এমনটাই দেখা গেল শুক্রবার। একের পর এক বিদেশি ব্র্যান্ডের গাড়ি কুম্ভ মেলার মাঠের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতেই কোনো না কোনো মহারাজ। মহারাজ কে গাড়িতে চাপিয়ে কুম্ভ মেলায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছেন তার গর্বিত শিষ্য।
এই ভিড়ে যখন গুরু শিষ্য সবাই ব্যস্ত একটি আশ্রমের ছাউনিতে দেখা গেল এক সাধুকে। যার আশেপাশে শীর্ষ নেই। তিনি নিজেই বসে নিজের পা মালিশ করছেন।
বৈষম্যের গল্পটা মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার গল্পের সঙ্গে বেশ জড়িয়ে আছে। দেবতারা যখন দানবদের ফাঁকি দিয়ে অমৃত নিয়ে পালাচ্ছিলেন ,তখন ইন্দ্রপুত্র জয়ন্ত মর্তভূমিতে চার জায়গায় নাকি সেই অমৃতের হাঁড়ি নামিয়ে ছিলেন। হরিদ্বার, প্রয়াগ , নাসিক এবং উজ্জয়িনী। এই চার জায়গায় মহাকুম্ভ হয়। যদিও তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
কুম্ভ মেলা সংগঠিত হয় কার যত সনাতনবাদী হিন্দুত্বকে সংগঠিত করার জন্যই। কর্পোরেট মেম্বারশিপে ভরপুর থাকে এই মেলা। কিছু বছর আগে পর্যন্ত ব্যবসা বাণিজ্যের লেনদেনের একটা বড় মাধ্যম ছিল এই মেলা। কুম্ভ মেলার আরেক নাম মাঘ মেলা। বিশেষ করে হিমালয় থেকে বহু সাধু ব্যবসায় অংশগ্রহণ কারণে নেমে আসতেন এই হরিদ্বারের এই কুম্ভ মেলায়।
তবে এ বছরের মেলা অনেক বেশি কর্পোরেট। ডিজিটাল কুম্ভ বলে আখ্যা দিয়েছেন যোগী সরকার। বোঝাই যাচ্ছে এই কুম্ভ যথেষ্ট ঝকঝকে হতে চলেছে। মাটির গন্ধ এতে প্রায় নেই বললেই চলে।
বৈষম্যের কুম্ভ মেলা শুরু, অনেক বাবার ক্লান্ত চরণ ছোঁয়ার কেউ নেই
