দক্ষিণী সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর রবিবার সকালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মাত্র তিন দিন আগেই, ১০ জুলাই ছিল তাঁর জন্মদিন। হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে নিজের বাসভবনেই চিরবিদায় নেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় জগতে একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন কোটা। ১৯৭৮ সালে ‘প্রণাম খরিদু’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৭৫০-রও বেশি ছবিতে অভিনয় করে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তেলুগু ছাড়াও তামিল, কন্নড়, হিন্দি, এমনকি মলয়ালম ছবিতেও তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। তাঁর কণ্ঠস্বর, অভিব্যক্তি, এবং সংলাপ বলার ভঙ্গিমা তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।
তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতিও মিলেছে বিস্তর। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত করে। এছাড়াও নন্দি অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শুধু অভিনয়ে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন কোটা। বিজেপির টিকিটে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার সদস্যও হয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে।
তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা চলচ্চিত্র মহলে। চিরঞ্জীবি, পাওয়ান কল্যাণ, ব্রহ্মানন্দম থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারতের বহু তারকা তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কোটা শ্রীনিবাস রাও-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে হায়দরাবাদেই, সরকারি মর্যাদায়। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ভারত হারাল এক জীবন্ত কিংবদন্তিকে, যাঁর অবদান চিরকাল অমলিন থাকবে সিনেমার ইতিহাসে।