পাসপোর্ট কাণ্ডের মাঝেই মাথাচাড়া দিচ্ছে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জঙ্গি যোগ। খাগড়গড় বিস্ফোরণের অন্যতম কারিগর জেএমবি সদস্য তারিকুল ইসলামকে হেফাজতে পেয়েছে বেঙ্গল এসটিএফ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মুর্শিদাবাদের জেলে বসেই এবিটি সদস্যদের বিভিন্ন সাহায্য করত তারিকুল। নাশকতার লক্ষ্য ছিল সুদূর। মুর্শিদাবাদের মণিগ্রামে সাগরগিঘি থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ছিল জঙ্গি নিশানায়। রাজ্য সরকার পরিচালিত সাগরদিঘি প্রজেক্টে কীভাবে নাশকতা চালানো যায় তার নকশা জেল থেকেই আঁকছিলেন তারিকুল। এবিটি সদস্যদের আত্মগোপনের মেয়াদ ঠিক করতেন এই সন্ত্রাসবাদী।
বাংলাদেশ থেকে সাগরদিঘি পাওয়ার পয়েন্ট খুব বেশি দূরে নয়। ভৌগলিক অবস্থান বলছে, বাংলাদেশ থেকে লালগোলা, ফরাক্কা এবং সুতি হয়ে সহজেই পৌঁছনো যাবে মণিগ্রামে। গন্তব্য বলছে, লালগোলার রাজারামপুর ঘাটের পর রয়েছে কাবিলপুর, সেখান থেকে পাওয়ার প্রজেক্টে পৌঁছতে আধঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। সুতি হয়েও গন্তব্য এতটাই সহজ। পুলিসি নাকাচেকিং ছাড়া এই পথে ধরা পড়ার সম্ভাবনা নেই। আর এই এলাকাগুলি চড় থেকে দূরে হওয়ায় বিএসএফের আওতাধীন-ও নয়। ফলে নাশকতার জন্য একেবারে নিরাপদ এবং সুস্থ পরিবেশ সাগরদিঘি পাওয়ার প্রজেক্ট।