হঠাৎ দেখা। ২৫ বছর পর। এই মাটি লক্ষ্মীর ভান্ডারের। সেই মাটিতে বিরল পেঁচা। উত্তরবঙ্গে ঘাস পেঁচা। কি এই নাম অপরিচিত? হ্যাঁ তা তো হবেই। কারণ এটি পেঁচার বিরল প্রজাতি। অসম, নেপালে এই পেঁচা দেখতে পাওয়া যায়। শান্তিনিকেতনে ১৯৮০ সালে এই পেঁচা দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করেন পরিবেশপ্রেমীরা। এবার মালদায় ফরাক্কা ব্যারেজ লাগোয়া ঘাসজমি। বা চর বলা চলে। সেখানেই ৯ই মার্চ ক্যামেরাবন্দি ৩টি ঘাসপেঁচা। মালদায় বিরল পেঁচার দেখা।সারা গায়ে ছিট ছিট। পিঠের উপর পাটকিলে। এক্কেবারে বিরল প্রজাতি। দেখা মেলে অসম, নেপালে। অসমে প্রজনন হয় এদের। এদের বলে অস্ট্রেলেশিয়ান গ্রাস আউল। একে ঘাসপেঁচাও বলা হয়।
পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, ১৯৮০ সালে শান্তিনিকেতনে দেখা গিয়েছিল গ্রাস আউল।
তবে সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি নেই। কারণ তখন ক্যামেরার চল ছিল না। ফলে বলাই যায়, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম ক্যামেরাবন্দি গ্রাস আউল। ১৯৮০ থেকে ২০২৫, ২৫ বছর পর বাংলায় ভিনরাজ্যের পেঁচা। গঙ্গা-ফুলহার এবং তার অববাহিকায় প্রচুর পরিযায়ী পাখির আনাগোনা। বন দফতরের উদ্যোগে এই পাখিদের সমীক্ষা চালায় বিভিন্ন সংগঠন। প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও তারা সমীক্ষা চালাচ্ছিল। ৯ই মার্চ, সমীক্ষার শেষ দিন যেন উপহার দিল। ঘাসপেঁচার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগ নেবে বন দফতর। ফলে বলাই যায়, অতিথি দেব ভব। যিনি এসেছেন, তাঁকে কি আর যেতে দেওয়া যায়?
লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাটি। ২৫ বছর পর সেই মাটিতে পেঁচা। তবে লক্ষ্মী পেঁচা নয়, এই পেঁচা…
