১৫ ই পৌষ। বহু যুগ আগে মা যোগাদ্যা এই ১৫ই পৌষ রাতে জল থেকে উঠেছিলেন। তাকে ভোগ নিবেদন করা হয়েছিল মুড়ির নাড়ু ও মুলো দিয়ে। এই শুভদিনেই ক্ষীরদিঘির পাড়ে নতুন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল মায়ের একটি অনবদ্য মূর্তি। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও ক্ষীরদগ্রামের মা যোগাদ্যার নতুন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে হোম যজ্ঞ , চণ্ডীপাঠ বিশেষ পুজো ও প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। অগণিত ভক্তের সমাগমে ক্ষীরগ্রামে উৎসবের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে।
এই ক্ষীরগ্রামের মা যোগাদ্যা ৫১ সতী পীঠের একপীঠ। মা যোগাদ্যা কে নিয়ে ছড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনী। মাকে ঘিরে প্রত্যেক বছর পালিত হয় নানা পূজো পার্বণ। সারা বছর মা ক্ষীরদিঘির জলে নিমজ্জিত থাকেন । বৈশাখ মাসের সংক্রান্তির দিন এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের ৪ তারিখে জল থেকে ওঠেন মা। মায়ের ভক্তরা তার দর্শন পান। অগণিত ভক্ত ওই দুদিন মাকে পুজো দেন।
বছরে এই দুই দিন ছাড়াও আরো কয়েকটি নির্দিষ্ট দিন মা জল থেকে ওঠেন। তবে তখন ভক্তরা মাকে দর্শনের সুযোগ পান না। সেই দিনগুলির মধ্যে পৌষ মাসের ১৫ তারিখ অন্যতম।
ক্ষীরদিঘির পাড়ে পৌষের রাতে জল থেকে উঠেছিলেন, এখনও নির্দিষ্ট সময়ে জল থেকে ওঠে এই সতীপীঠের অন্যতম
