কলকাতা থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর সরানোর প্রক্রিয়া ফের শুরু হয়েছে, আর তা ঘিরে ছড়িয়ে পড়েছে বিতর্ক, উদ্বেগ এবং ক্ষোভ। যে শহর একসময় দেশের অন্যতম আর্থিক কেন্দ্র ছিল, সেখানে আজ একের পর এক বড় দফতর গুটিয়ে নেওয়া যেন অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল মার্কেটস ইউনিট’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট, যেখানে বৈদেশিক মুদ্রা, ট্রেজারি ও ডেরিভেটিভস সংক্রান্ত কাজ হয়, সেটিও এবার মুম্বইতে স্থানান্তরের পথে।এই সিদ্ধান্ত কিছু নতুন নয়। আগেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কর্মীদের প্রতিক্রিয়ায় তা থমকে যায়।
এবার সেই পরিকল্পনাতেই ফের গতি এনেছে SBI কর্তৃপক্ষ। আর এই পরিস্থিতিতেই কলকাতার একাধিক নাগরিক সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। তাদের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামোর ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেবে এবং কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলবে।তবে শুধু অর্থনীতিই নয়, এই সিদ্ধান্তের পিছনে কেন্দ্রের ‘রাজনৈতিক অবজ্ঞা’র অভিযোগ তুলছে কর্মী সংগঠনগুলি। একে তাঁরা ‘বেঙ্গল হটানো নীতি’র ধারাবাহিকতা বলেই দেখছেন।
এর আগে একাধিক দফতর কলকাতা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে—হেড অফিস, আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক-অফিস কার্যক্রমও একে একে স্থানান্তর হয়েছে অন্যত্র।এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে কর্মী মহলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে—এই শহর কি আর দেশের আর্থিক মানচিত্রে গুরুত্ব পাবে? নাকি ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়বে বাংলা?
মুখ্যমন্ত্রী কি এ বিষয়ে সক্রিয় হবেন, নাকি এও আরও একটি হারিয়ে যাওয়া অধ্যায় হয়ে থাকবে কলকাতার জন্য? যত দিন যাচ্ছে, উত্তরটা আরও কঠিন হয়ে উঠছে।