Bunny•২৮.১১.২০২৪•বৃহস্পতিবার
কলকাতা: বহু এমন সংস্থা রয়েছে, যারা টার্গেট পূরণের চাকরি দেন। এই যেমন, এতগুলো এটিএম কার্ড বিক্রি করুন, তবেই আপনার চাকরি থাকবে। লক্ষ্যপূরণের কাজ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আগেই বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। এতেও পিছিয়ে বঙ্গ বিজেপি। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির আর্জিতে সদস্য সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ কোটি লক্ষ্যপূরণ করতে হবে। আদৌ কি তা হবে?
বিজেপি সূত্রে খবর, বঙ্গ বিজেপির সদস্যতা অভিযানের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুনীল বনসল। সক্রিয়তা বাড়াতে হবে রাজ্য নেতৃত্বকে। শোনা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহার মতো আদি বিজেপির নেতৃত্বের সক্রিয়তা বাড়াতে হবে, এমন নির্দেশ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার পদ্ম শিবিরে। পাশাপাশি, বেশ কিছু নেতৃত্বের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ কেন্দ্রের। ঘোরাফেরা বন্ধ করে, সংগঠন গড়ে তুলুন। সদস্য সংগ্রহে ফোকাস বাড়াতে বলা হয়েছে।
সদ্য শমীক ভট্টাচার্য এবং সতীশ ধন্দের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন সুনীল। আর সেখানেই বাংলার সদস্যতা অভিযানের রিপোর্ট পেয়ে বিজেপির নেতৃত্বের পারফরমেন্সে অসন্তোষ।
সাম্প্রতিককালে বিজেপির বঙ্গ ইতিহাস যদি ঘাঁটা যায়, তবে স্পষ্ট: ২০২১ সালে বিজেপি ৭৭ হলেও, এই পর্যন্ত উপনির্বাচনে বিধায়ক সংখ্যা ৭০ এর নিচে। রাজনৈতিক মহল বলে বিজেপি বিরোধী দলনেতা পেলেও, বিরোধী দল হিসেবে কতটা সফল, তা নিয়ে ধন্দ। এককথায়, দিলীপ, রাহুলের মতো পুরনো নেতাদের যত নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে, ততই যেন পায়ে তলার মাটি হারিয়েছে বিজেপি। ২০২৬ সালের আগে হারানো জমি পুনরুদ্ধার এবং শাহী লক্ষ্য পূরণ করতে নতুন কোন্ নকশা আঁকতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি? দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের গুরুত্ব দেবে দল? পদ্মের বঙ্গ পরিণতি সময়ের মুঠোয়।