সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট ভাড়া। সেই ভাড়া করা অ্যাকাউন্টে আন্তর্জাতিক জালিয়াতি চক্র। ২০২৪ সালের ২৪মে জালিয়াতি চক্রের হদিশ পাওয়া যায়। ফাঁসিদেওয়ার চটহাটে অভিযান চালায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় একাধিক নথিপত্র। পালিয়ে যায় মহম্মদ সইদুল। একেই মূল অভিযুক্ত দাগিয়ে দেওয়া হয়। ৯ মাস পর গ্রেফতারির ঘটনায় একাধিক তথ্যের হদিশ পেয়ে অবাক পুলিশ।
ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ সুপার জানান, এই চক্রে কিংপিন সইদুলই। সাধারণ মানুষের নথি নিয়ে অ্যাকাউন্ট ভাড়া ও সিম কার্ড তৈরি করতো। সেই ভাড়া একাউন্ট প্রতারকদের দিয়ে ১০০ কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে ছড়িয়ে রয়েছে জালিয়াতি চক্র। গোটা ঘটনার তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এসডিপিও নেতৃত্বে ৫ সদস্যর সিট গঠন জেলা পুলিশের। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সইদুল সহ আরও তিন। দেশের মোট ৩৪০টি অনলাইন প্রতারণা অভিযোগ রয়েছে এরই সঙ্গে।
ফাঁসিদেওয়া থানায় এই জালিয়াতিতে ৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অনলাইন দোকানের আড়ালে এই চক্র চলতো। ফাঁসিদেওয়া থেকে গুজরাট মুম্বাই ও দিল্লির প্রতারণা গ্যাং এর সঙ্গে যোগ ছিল মূল অভিযুক্তের। প্রায় দেড় বছর ধরে এই চক্র গড়ে উঠেছিল বলে পুলিশের অনুমান। প্রতারণার ফাঁদে কলকাতার সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার এক মহিলা। লোন অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা প্রতারণা শিকার মহিলা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান জেলা পুলিশ সুপার।