শেষ পর্যন্ত জট কাটল ভাবাদিঘি ঘিরে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পে প্রাণ ফিরল। ইতিমধ্যেই তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হয়েছে। অপরদিকে, বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত সিআরএস পর্বও শেষ। কামারপুকুর রেল স্টেশনও তৈরি হয়ে গিয়েছে, জোরকদমে চলছে কামারপুকুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত লাইন পাতার কাজ।
তবে এই গোটা প্রকল্পের মাত্র ৬০০ মিটার পথ হয়ে উঠেছিল বড় বাধা। ভাবাদিঘির উপর দিয়ে রেললাইন বসানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা চলছিল। এই সংযোগ না হওয়ায় মিলছিল না তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর সরাসরি ট্রেন চলাচলের পথ। বারবার প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিল প্রকল্প।
মার্চ মাসে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে গতি আসে এই বন্ধ্যত্বে। তারপর রাজ্য প্রশাসন, রেল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় আন্দোলনকারীদের মধ্যে একাধিক ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভাবাদিঘির উপর ব্রিজ তৈরি করেই রেললাইন টানা হবে।
শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে মাটি পরীক্ষার কাজ। ব্রিজ তৈরির পর পূর্ণতা পাবে ৮২.৪৭ কিমির এই রেল প্রকল্প।
এই রেলপথ চালু হলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে হাওড়াগামী যাত্রীদের যাতায়াতে বিপুল সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দূরত্ব যেমন কমবে, তেমনই সময়ও সাশ্রয় হবে। বহুদিন ধরে আটকে থাকা প্রকল্প অবশেষে রূপ পেতে চলেছে বাস্তবে।