.চা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হলো চা সুন্দরীর ঘর।২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প চা বাগান শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরীর কাজ শুরু হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত জমি চিহ্নিত করা হয় বিভিন্ন বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের অন্তর্গত রেড ব্যাংক চা বাগানে ৫৬২টি বাড়ি তৈরি করা হয়। এরপরই সার্ভে করা হয় চা বাগান গুলিতে রাজ্য সরকারের তৈরি এই বাড়িগুলি বন্টনের জন্য। গত মাসে একটি অংশের সার্ভের কাজ সম্পূর্ণ হলে চূড়ান্ত অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছিল উপর মহলে। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর, রবিবার চা শ্রমিকদের উপস্থিতিতে আয়োজন করা হয় ঘর বন্টনের অনুষ্ঠান। আদিবাসী নৃত্য ও গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান করে ৮১ জন চা শ্রমিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তৈরি নতুন এই বাড়িগুলি। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বাড়ি পেয়ে খুশি চা শ্রমিকেরা ।* এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সীমা চৌধুরী, ধূপগুড়ি মহাকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা সহ বানাহাট ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, “৮১ জন চা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হলো বাড়ি। সুপরিকল্পিতভাবে চা শ্রমিকদের জন্য বাড়িগুলি তৈরি হয়েছে। এর ভেতরে রয়েছে দুটি করে ঘর একটি রান্না করার জন্য কিচেন রুম ও বাথরুম।” জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সীমা চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় রেড ব্যাংক চা বাগানের এই জায়গায় মোট ৫৬২টি চা সুন্দরী প্রকল্পের বাড়ি তৈরি করা হয়। শুধু বাড়িই নয় এই আবাসন চত্বরেই তৈরি করা হয়েছে চা বাগান শ্রমিকদের শিশুদের জন্য পার্ক ও বসার জায়গা। জল নিকাশি ব্যবস্থার জন্যও করা হয়েছে হাইড্রেন ও ছোট ছোট ড্রেন। আগামী দিনে আদিবাসীদের বিভিন্ন কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে এই জায়গায়।
চা শ্রমিকরা পেলেন চা সুন্দরী ঘর
