এই পূজোতে কন্ডোমের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৫০%। কারণ শুনলে চমকে যাবেন।

Spread the love

নিউজ ডেস্ক :প্রতিবারই পুজো এলে কন্ডোমের বিক্রি বেড়ে যায়। কিন্তু একটা সূত্র বলছে, গতবারের থেকে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি কন্ডোম বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এত পরিমানে বিক্রি! চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের সামনে। কেন কন্ডোমের বিক্রি বাড়ছে?
বেশ কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ির মত একটি বর্ধিষ্ণু শহরে কন্ডোমের বিক্রি হঠাৎ করে বেড়ে গেছিল। বিক্রি এতটা বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে যখন আসল তথ্য হাতে উঠে আসে, তখন জানা গেছিল। কন্ডোম বিশেষ প্রক্রিয়ায় নেশা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এবং সেই নেশাতে মশগুল হয়ে পড়েছিল যুবসমাজ। সেটা যে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে, সেটাও নয়। এখনো পর্যন্ত কন্ডোমের চাহিদা রয়েছে।
একটি পরিসংখ্যান বলছে, এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে শারীরিক চাহিদা আস্তে আস্তে কমছে । স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম নিয়ন্ত্রক হিসাবে কন্ডোমের ব্যবহার হচ্ছে না। কিন্তু উঠতি যুবক-যুবতীদের মধ্যে নতুন নেশা করার ধরন পৌঁছেছে। এটার একটাই কারণ, মাদক সেবন করলে মুখ থেকে গন্ধ পাওয়া যায়। কিংবা আচার-আচরণে বোঝা যায়। এছাড়াও ওগুলি যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই নেশায় শরীরে হালকা আমেজ আনতে গিয়ে ইদানিং কালে যুবক যুবতীরা কন্ডোম জলে ভিজিয়ে নেশা করছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, পুজোর সময় রিসর্ট হোটেল গুলোতে যে ভাবে গ্রাহকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। তাতে কন্ডোমের ব্যবহারও বাড়ে। অন্যদিকে যুবক যুবতীরা নিজেরা বিভিন্নভাবে মিলিত হওয়ার জন্য কন্ডোমের ব্যবহার করে থাকে।
এই ধরনের চাহিদা সঙ্গে সঙ্গে কন্ডোম নেশার জিনিস হিসাবে ব্যবহারের জন্য ,আগের থেকে অনেকটাই চাহিদায় বেড়েছে। তবে নেশার জন্য যদি ব্যবহার হয়। তাহলে যে কোন নেশাই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই পানের দোকান কিংবা সহজে পাওয়া যায় এমন কোন জায়গায় বিক্রি নিয়ে হয়ত ভবিষ্যতে সরকারকে ভাবতে হবে। যদিও নিরোধের ব্যবহারে সব থেকে বড় সুবিধা হল,যারা অসংলগ্ন যৌন জীবন পালন করেন, তাদের যৌন ঘটিত রোগ থেকে বাঁচতে এবং অযাচিত গর্ভ রোধ করতে এটির ভূমিকা অতুলনীয়।
কন্ডোমের ব্যবহার সব মিলিয়ে এই দুর্গা পুজোতে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে ।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *