শ্বশুর , শাশুড়ি এবং তিন মেয়েকে চায়ের সঙ্গে নেশার জিনিস মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে এক বাড়ির দুই বউ এক যুবকের সঙ্গে পালিয়েছে , থানার দারস্ত হয়েছে স্বামী । স্বামী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছে অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের মালিদা গ্রামের বাসিন্দা দাদা ইয়াসিন শেখ ও ভাই আনিসুর শেখের দুই স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের আরিফ মোল্লার প্রেম প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল । সোমবার সন্ধ্যায় আনিসুর গ্যারেজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখতে পায় তার বাবা মা ও তিন মেয়ে অচেতন হয়ে রয়েছে । বাড়িতে নেই স্ত্রী , বৌদি ও এক মেয়ে । পরবর্তীতে বাবা-মা তিন মেয়েকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । মঙ্গলবার সকালে জ্ঞান ফিরলে বাবা মা জানায় গতকাল সন্ধ্যায় আরিফ এসে দুই বউয়ের কাছে কিছু একটা দিয়ে গিয়েছিল তারপরেই চা বানিয়ে দিয়েছিল দুই বউ সেই চা খাওয়ার পর থেকেই তারা অচেতন হয়ে পড়েছে । এবং গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বাড়ির *বড় বউ কুলচান মল্লিক ছোট বউ নাজমা মন্ডল** এক মেয়েকে নিয়ে আরিফের সঙ্গে চম্পট দিয়েছে । মঙ্গলবার আনিসুর বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । এই বিষয়ে আনিসুর শেখ জানিয়েছে এর আগেও বড় বৌদি ও তার স্ত্রীকে নিয়ে আরিফ মোল্লা পালিয়ে ছিল । বাড়িতে ছোট বাচ্চাদের কথা ভেবে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছিল । এবার চায়ের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে বাবা মা দাদার দুই মেয়ে ও তার এক মেয়েকে অচেতন করে দুই বউকে নিয়ে পালিয়েছে আরিফ । আরিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে আনিসুর । আরিফের শাস্তির দাবি তুলেছে আনিসুরের বাবা-মা । অন্যদিকে আরিফের স্ত্রী সোনিয়া মোল্লা জানিয়েছে আরিফ এবং ওই দুই বউয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক আমি সেটাই চাই । আমার একটা জীবন আছে আমার বাচ্চাদের জীবন আছে । আমি জানতাম ওদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। দুই বউকে একসঙ্গে নিয়ে পালিয়েছে আরিফ । আরিফের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় আমি সেটাই চাই । লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ ।


