পাঞ্জাবের ডেরায় ফের লাল হলুদ ব্রিগেড কি জ্বলে উঠতে পারবে!

Spread the love


হ্যাপি বনিক : এ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের মত, পাঞ্জাবের পক্ষে সেরা ছ”য়ে যাওয়ার রাস্তা বেশ কঠিন বলাই চলে । দুটি দলই চাইবে ,এখন সব ম্যাচ জিতে নিজেদের গোল পরিসংখ্যান কমাতে। যদিও তাদের অন্যান্য দল গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর উপায় নেই।
শেষ ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট পেয়ে, পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরেই থমকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ পাঁচ ম্যাচ থেকে ৭পয়েন্ট তুলেছে ইস্টবেঙ্গল । অপর দিকে পাঞ্জাব এফসি গত পাঁচ ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট অর্জন করেছে। দুটো দলের এই ফর্ম নিয়ে বিচার করলে শনিবার বিকেলে পাঞ্জাবের ঘরের মাঠে কিছুটা এগিয়ে থাকবে ইস্টবেঙ্গলের অস্কার ব্রুজোনের দলের ছেলেরা।

চলতি লিগে ইস্টবেঙ্গলের অ্যাওয়ে ম্যাচের পরিসংখ্যান কোচ, অস্কার ব্রুজোকে চিন্তায় রাখার মতই। এ পর্যন্ত দশটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে মাত্র দু’টিতে জয় পেয়েছে ইষ্ট বেঙ্গল। হেরেছে পাঁচটিতে। ৩টিতে ড্র। ইস্ট বেঙ্গল যে চাপে থাকবে তা বলাই যায়।
লাল হলুদ সমর্থকেরা উচ্ছ্বসিত শেষবার তারা ঘরের মাঠে পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে আইএসএল ইতিহাসের সেরা জয়টি পাঞ্জাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ।পাঞ্জাবের ঘরের মাঠে থেকে। তখন পাঞ্জাব এফসি লিগ টেবলের সেরা ছয়ে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ৪-২-এ জেতে। আইএসএলের আসরে এ রকম জয় কখনও দেখেননি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা।
পাঞ্জাব এফসি ২১ ও ৩৯ মিনিটে হ্যাঙ্গারিয়ান ফরওয়ার্ড আজমির সুলজিক ও আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডার নর্বেতো ভিদালের গোলে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব এফসি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলার পিভি বিষ্ণুকে নামিয়ে অস্কার ব্রুজন হতাশ হয়ে যায়।তারপর লাল হলুদ সমর্থকদের জাগিয়ে তোলে মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে ৪ গোল দিয়ে ।
শনিবার পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে বিষ্ণুদের মাথায় থাকবে সেই ম্যাচের পারফরমেন্স এর কথা। ঠিক তেমনই বদলার মনোভাব সঙ্গে নিয়েই নিজেদের মাঠে নামবে পাঞ্জাব এফসি দল। ঘরের মাঠে জিতে নিজেদের পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।
ইস্টবেঙ্গল চাইবে শেষ তিনটি ম্যাচ জিতে নিজেদের পয়েন্ট টেবিলের পরিসংখ্যা বাড়িয়ে রাখার।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *