শংকু সাঁতরা: অশান্ত বাংলাদেশের উগ্রবাদী মুসলিমরা ভারতবর্ষের কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ বছরের পর বছর পশ্চিমবাংলার বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষকেরা অত্যাচারিত হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছে। বেশ কয়েক মাস হল গেদে এলাকার চাষীরা তাদের সীমান্তের কাঁটা তারের ওপারে থাকা জমিতে চাষ করতে যেতে পারছে না। প্রচুর ভারতীয়ের বাংলা ভাগের পরে প্রচুর জমির কাঁটা তারের ওপারে থেকে গেছে। যার ফলে , এখনও কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতের কৃষকদের ওপারে চাষ করতে যেতে হয়।
এই মুহূর্তে নদিয়া ,উত্তর ২৪ পরগনা ,এরকম বেশ কয়েকটি জেলার চাষীরা বড় বিপদে পড়েছে। বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে এবং ভারতীয়দের ওপর চরম বিষোদগার এর ফলে চাষের জমির ফসল থেকে আরম্ভ করে, গাছের ফল। সমস্ত কিছুই জোর করে কেটে নিয়ে পালাচ্ছে বাংলাদেশীরা। প্রতিবাদ করলেই জুটছে প্রচন্ড পরিমাণে মারধোর থেকে খুনের হুমকি ইত্যাদি। এছাড়াও জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতীয় চাষীদের জোর করে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনা তো রয়েছেই।
গেদে এলাকার বাসিন্দা ভজন বিশ্বাস জানান, বিএসএফ কাটা তারের এপারে থাকে। কাঁটাতারের ওপারে প্রায় দু কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতীয়দের জমি রয়েছে। যাকে এক কথায় বলা হয় জিরো পয়েন্ট। বাংলাভাগের সময় প্রচুর ভারতীয় রয়েছেন যাদের জমি বাংলাদেশে এখনো রয়ে গেছে। দু-দেশের চুক্তির ফলে পরিচয় পত্র সীমান্ত রক্ষীদের কাছে জমা রেখে চাষ করতে যায় ভারতীয় চাষীরা। সে তুলনায় বাংলাদেশীদের চাষ জমি ভারতে অনেকটাই কম।
গেদে এলাকার কমল বিশ্বাস, সুকান্ত বিশ্বাসরা জানান ,অনবরত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। যখন বড় কিছু বিপদ ঘটে, তখন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা ওই চাষীদের নাকি বাংলাদেশীদের ধরে আনতে বলে। এছাড়াও সীমান্ত রক্ষীদের টহল সর্বদা থাকে না। যার ফলে বাংলাদেশীরা প্রচন্ড বৃষ্টি এবং কুয়াশার সময় ভারতে অনুপ্রবেশ করে, চুরি ডাকাতি ছিনতাই এর মত ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়।
বাংলাদেশের এই মুহূর্তে যে মানসিকতা রয়েছে সেটা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ভারতীয় চাষীদের ,তাদের চাষ জমিতে গিয়ে চাষ করা কিংবা ফসল বাড়িতে তুলে আনা বড় কঠিন হবে বলে, ধারণা চাষীদের। এই বিপদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত এলাকার চাষীরা।
indinews24