নিজস্ব সংবাদ দাতা:রাজ্য সরকার কেলেঙ্কারি মুক্ত হতে পারছে না। কখনও সাইকেল ,কখনও মিড ডে মিল ।কখনও আবার ছেলেদের দেওয়ার ট্যাব।মুর্শিদাবাদের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ট্যাব কেলেঙ্কারিতে বিহারের যোগ পাওয়া গেল। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে রাজ্য সরকারের দেওয়া একাদশ ও দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে। ইতিমধ্যে স্কুলগুলি যে যে ছাত্র-ছাত্রীরা ট্যাব পায়নি তাদের বিষয়গুলি খোঁজখবর শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত,এই জেলার প্রায় সাড়ে ৩০০ পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে জেলা বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলার ২৫ থেকে ৩০টি স্কুলের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। এই তালিকায় প্রত্যন্ত সাগর, গোসাবা, কুলতলি থেকে শহরতলি সোনারপুর, বারুইপুর, বজবজ ও মহেশতলার একাধিক স্কুলের নাম আছে।
এই জেলার সাগরের মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলের ৩১ জন পড়ুয়ার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন সহ শিক্ষক। বেশিরভাগ স্কুলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যারা ট্যাব পায়নি ।তাদেরকে নানা কারণে ব্যাংকিং সমস্যার কথা জানিয়ে এড়িয়ে গেছিল সবাই। এবার আস্তে আস্তে সমস্ত কিছু পরিষ্কার হচ্ছে।সাগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বিহারের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এই টাকা।
এছাড়া সাগরের কোম্পানিরছাড় হাইস্কুল, মনসাদ্বীপ রামকৃষ্ণ মিশন ও সুন্দরবন জনকল্যাণ স্কুলের পড়ুয়াদের টাকাও অন্য অ্যাকান্টে গেছে। কুলপির মদন মোহনপুর হাইস্কুলের ১৫ ও মগরাহাটের চকপরান কাঁটাখালি বেলমনি গার্লস হাইস্কুলের ১২ জনের টাকা অন্যত্র ঢুকেছে। এই দুই স্কুলের ক্ষেত্রেও টাকা ঢুকেছে বিহারের অ্যাকাউন্টে। ট্যাব নিয়ে গরমিল সামাল দিতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ( মাধ্যমিক) নজরুল হক সিপাই জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেছেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নজরুল হক সিপাই জানিয়েছেন, প্রত্যেক স্কুলকে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।
তবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি, ইতিমধ্যে বড়সড় চক্রান্তের গন্ধ পেয়েছে ।তারা রীতিমতো প্রতিবাদে নেমেছে ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে।