পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া দলের ধুমধাম করে রামনবমী পালন করা শুরু হয়েছিল তাঁরই আমলে। ২০১৬ সালে দিলীপ ঘোষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি হন। ২০১৭ সাল থেকে বঙ্গে রামনবমী পালন করা শুরু করে বিজেপি। তারপর একের পর এক সংগঠন বেড়েই গেছে বিজেপির। এরপরই রাজ্য সভাপতি পদ গেছে দিলীপের। নিন্দুকেরা বলেন, দিলীপের দলীয় পদ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির ক্ষমতায় কমেছে। যাইহোক, তাঁর দেখানো পথে বিজেপি আজও রাম রাজনীতির সলতে পাকায় বঙ্গে। বিজেপির অন্দরেই কথা হচ্ছে, সব নেতার থেকে বেশি সার্থক দিলীপ ঘোষের রাম নবমী। একা তিন জেলা যেন মাতিয়ে রাখলেন। একই সঙ্গে মেতে থাকলেন খবরের হেডলাইনসেও।
সকাল ৮টায় মেদিনীপুরের রঘুনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু। এরপর গোপগড় মন্দির। এরপর বেলায় তমলুকের রাধামণি বাজারে দিলীপের বাইক মিছিল। নিজের হাতে এনফিল্ড চালালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দলকেও যেন ছোটালেন বুলেট গতিতে। লাঠি খেললেন বেশ কিছু আখড়ায় গিয়ে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম – তিন জেলা একাই মাতালেন দিলীপ। দিলেন সম্প্রীতির বার্তাও। দিলীপের কথায়, (তৃণমূল এবং বিজেপির মিছিলে একাধিক জায়গায় মুসলিমরাও অংশ নেন। সেই বিষয়ে মন্তব্য) রাম কারও একার নয়। রাম সবার। মুসলমানদেরও।