২০২৩ সালে UNFPA এর World Population Report বলছে, ভারত জনসংখ্যার দিক থেকে চিনকে টপকে গেছে। সংখ্যাটা ২০২৪ এর শেষে দাঁড়িয়ে সংখ্যাটা নিশ্চিন্তে ১,৪৫৬,৮২৫,৪৫৫ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে, দেশের জনশক্তি বাড়লেও, প্রতিদিনের রুটি রুজিতে বিরাট প্রভাব পড়ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোথাও গিয়ে বাধা পাচ্ছে এই জনসংখ্যার পাঁচিলের কাছে। জাতীয় আয় বাড়লেও, মাথা পিছু আয় বাড়ছে না। অপুষ্টি বাড়ছে, ভোগ্যবস্তুর চাহিদা বাড়ছে। জনসংখ্যার বাড়বাড়ন্তে কিছুতেই কনডমের ব্যবহার অস্বীকার করা যায় না।
• জাতীয় স্বাস্থ্য সমীক্ষা বলছে, ভারতের ৯৪.৪% পুরুষ কনডমের ব্যবহার পছন্দ করেন না।
• কেউ ভাবতেই পারেন, হয়তো তারা কনডম সম্পর্কে জানেন না অথবা দেশ sex শিক্ষা দিতে পিছিয়ে। দেশে ৯৪% কনডমের ব্যবহার জানেন। এমনকি ৯৭.৯% পুরুষ কনডমের গুরুত্ব জানেন।
• সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিবাহিত পুরুষদের ৯৫% কনডম ব্যবহার পছন্দই করে না।
কিন্তু কেন কনডমে অনীহা?
•মনে করা হচ্ছে, যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার সময় কনডম ব্যবহার করলে তা শারীরিক যোগাযোগ বাধার সৃষ্টি করে। দুটি যৌনাঙ্গের মিলনের মাঝে কনডমের ‘কাবাব মে হাড্ডি’ হওয়া বহু পুরুষই মেনে নিতে পারেন না। তাই যৌন আনন্দ কমে যাওয়ার কারণেই কনডম ব্যবহারে পুরুষের এত আপত্তি। কনডম ফোরপ্লেতেও বাধা দেয় বলে মত অনেকের। বেশ কিছু বিদেশি সমীক্ষাও বলছে, কনডম যৌন আনন্দ বাধা দেয়, তা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত। শুধু পুরুষ নয়, বহু মহিলাও এক্ষেত্রে মনে করেন – পুরুষ যৌনাঙ্গে কনডম থাকলে তারা সম্পূর্ণ যৌন সুখ অনুভব করতে পারেন না।
রাজ্যভিত্তিক সমীক্ষা চলেছে এই নিয়ে। রিপোর্ট বলছে, অন্ধ্র প্রদেশে মাত্র ০.২% পুরুষ কনডম ব্যবহার করেন। বিহারে মাত্র ১%। এদিকে চণ্ডীগড়ে কনডম ব্যবহারের হার ২৭.৯%। দিল্লি ১৯%, উত্তরাখণ্ড ১৬.১%।
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট (২০১৫) বলছে, পাকিস্তানে কনডম ব্যবহার করেন সবমিলি ৯.৯%।
তবে সবক্ষেত্রেই যে কনডম ব্যবহার করলে গর্ভধারণ রোধ সম্ভব তাও নয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কনডম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে সেক্ষেত্রে গর্ভধারণের প্রবণতা থেকেই যায়। তবে কনডমের সঠিক ব্যবহারে, এইচআইভির সরাসরি প্রবেশ রোধ করা সম্ভব বলে জানাচ্ছে পরীক্ষা। ফলে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার চরম সুখে পারিপার্শ্বিক দিক-ও নজরে রাখা উচিত।