ভারতে ফের দৃশ্যমান পাকিস্তানি শিল্পীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। আর তাতেই বিতর্কের ঝড়। সম্প্রতি পাকিস্তানের একাধিক ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভারতে খুলে গিয়েছে বলে খবর। সেই তালিকায় রয়েছে মাজরা হোকেসেন, ইয়ুমনা জায়দি, সবা ক্বামারের মতো জনপ্রিয় নাম। আর এই ঘটনা নিয়েই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিল অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (AICWA)।তাঁদের অভিযোগ, পাক শিল্পীদের ডিজিটাল উপস্থিতি শহিদ জওয়ানদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননার সামিল। তারা স্পষ্টভাবে লিখেছে— ২০১৬ সালের সার্জিকাল স্ট্রাইক হোক বা ২০১৯–এর পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানি শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাক শিল্প, শিল্পী ও তাদের কনটেন্ট একপ্রকার নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে।এবার আবার নতুন করে পাক তারকাদের ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ভারতে খুলে যাওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। সিনে সংগঠনের দাবি, ফের ডিজিটাল ব্ল্যাকআউট জারি করতে হবে। পাক শিল্পীদের যেকোনও কনটেন্ট ভারতে দেখা বন্ধ করতে হবে। AICWA জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের মাটিতে কোনওভাবেই পাকিস্তানি শিল্পীদের ‘প্রচার’ বরদাস্ত করা হবে না।তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র ডিজিটাল স্তরেই নয়, ভবিষ্যতে কোনও ভারতীয় প্রোজেক্টে যাতে পাকিস্তানি শিল্পীদের রাখা না হয়, তা নিশ্চিত করুক কেন্দ্র। পাকিস্তানের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতা একবার শুরু হয়েছে, তা যেন স্থায়ী হয়— এই মর্মে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। একাংশের বক্তব্য, “কিছু মানুষ বলিউডে সুযোগ পাচ্ছেন না বলে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন।” আবার কেউ বলছেন, “যে দেশ বারবার জঙ্গি হামলা করে, তাদের শিল্পীদের ভারতে জায়গা নেই।”এখন দেখার, সরকারের তরফে এই বিতর্কে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না।
ভারতে খুলে গেল পাক শিল্পীদের অ্যাকাউন্ট, মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি সিনে সংগঠনের
