রক্তিম ওঝা :এবার আরজিকর চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তলব পুলিশ কর্মীদের।ওই দিন হাসপাতালের আউটপোস্টে কর্তব্যরত ১১ জন পুলিশ কর্মীদের তলব সিবিআই এর। সোমবার এবং মঙ্গলবার এই পুলিশ কর্মীদের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। ২০২৪ সালের ৯ই আগস্ট আরজিকর মেডিকেল কলেজে এই ঘটনাটি ঘটে।ওই দিন আউট পোস্টে কর্মরত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে থেকে ১১ জন পুলিশ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে সিবিআই। যদিও এই ঘটনার সর্বোচ্চ সাজা জানিয়ে দিয়েছে আদালত এবং সঞ্জয় রায়কে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাও এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। আরজি কর ঘটনার খুনের জায়গায় প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছিলেন তদন্তে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে দেরি করা হয়েছে কাজেই প্রমাণ লোপাট এর একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ময়না তদন্তের পর কিভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছিল?
আরজিকর ঘটনায় রাজ্য সরকারের আইনজীবীর দ্বারা দেওয়া টাইম লাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ইতি মধ্যেই সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড সাজা শোনানো হলেও, তারপরেই ফাঁসির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্য সরকার। কিন্তু নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার দাবিতে খুঁজে বার করা হোক বাকি দোষীদের। সিবিআই এর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহতের বাবা-মা।
সিবিআই এর বিরুদ্ধেও তদন্তে গাফিলতি এবং চার্জশট নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল এখনো পর্যন্ত তাদের তদন্ত শেষ হয়নি। তাই চাপে পড়ে সিবিআই ১১ জন পুলিশ কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে।