নিজস্ব সংবাদদাতা:কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় বেড়াতে গেলে রীতিমতো পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে আপনার। যার জন্য ভিক্টোরিয়া প্রিন্সেপ ঘাট মিলেনিয়াম পার্কের এই মত জায়গাতে গুলোতে দেখা যায় বাড়ি থেকে টিফিন তৈরি করে নিয়ে অনেকেই বেড়াতে যান। কারণ ,ওই সমস্ত জায়গাগুলোতে যে সমস্ত খাবারের স্টল রয়েছে ।সেখানে খাবারের দাম আকাশচুম্বী। যার ফলে ,দুজন কিংবা তিনজন বেড়াতে গেলে সামান্য পেটের এক কোণে পড়ে থাকা টিফিন করতে গেলে কমপক্ষে ৫০০ টাকা গুনতে হয়।
কলকাতা প্রিন্সেপ ঘাট প্রতিদিন প্রচুর মানুষ ওখানে বেড়াতে যান। প্রিন্সেপ ঘটে একটি ৫০ মিলি মাটির ভাঁড়ে পান করতে লাগে ২৫ টাকা। আবার যদি ১০০ মিলি, হয় সেটার দাম নেয় ৫০ টাকা। অন্যদিকে পাপড়ি চাট পাউ ভাজিত রয়েছে,একটি ক্ষুদ্র পাউরুটিকে কয়েক ভাগ করে, তার মধ্যে চারটি অংশ এবং ঘুগনি দিয়ে দাম ৯০ টাকা। আসলে যার দাম হওয়া উচিত 15 থেকে কুড়ি টাকা। কিনতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ,বেড়াতে যাওয়া সাধারণ নাগরিকেরা।
কেউ যদি কোন ভাবে দাম নিয়ে ওদের সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে যায়। তাহলে হিন্দি ভাষায় রীতিমতো অপমানিত হতে হয়। সঙ্গে দোকান দারদের জোট বদ্ধতা। এই দোকানগুলি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে। প্রত্যেকের স্টল নম্বর রয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিকের থেকে ৫ গুন- ৬গুন দাম নিলেও তারা কোনভাবে বিল কিংবা চালান ব্যবহার করেনা। বেশিরভাগ ভ্রমণকারী অভিযোগ রয়েছে ,এই সমস্ত স্টল নিয়ে।
ঐ সমস্ত খাবারের দোকানগুলোতে খাবার নিয়ে নির্দিষ্ট বিধি করন অবলম্বন করা হয় না। খাবারের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকে। তবে ওখানে বেড়াতে গেলে পথ চলতি চা ফেরি ওয়ালাকে পেয়ে যাবেন।তবে সেই ফেরিওয়ালারা স্বাভাবিক কর্পোরেশনের নলের জলে চা তৈরি করে।

বিশেষ করে কলকাতা শহরে বহু বয়স্ক মানুষ রয়েছেন যারা প্রতিদিন একটু নিরি বিলিতে বসা এবং বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য প্রিন্সেপ ঘাট এলাকাতে যান। তাদের শত ইচ্ছা থাকলেও ,তারা কোনোভাবে ওখানে চা কিংবা টিফিন কিনতে পারেন না। একটাই কারণ ,চা কিংবা টিফিনের পেছনে যে জোর জুলুম রয়েছে ।সেটা প্রত্যেককে ভাবিয়ে তুলেছে। অনেকের বক্তব্য, কে দেখবে এটা? কারণ ওই এলাকাটি কলকাতা পোস্ট ট্রাস্ট এর অধীনে।