শঙ্কু সাঁতরা : মিড -ডে মিল কিংবা শিশু খাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে এর আগে নানা অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু indinews24.com বিভিন্ন জায়গা ঘুরে যতটুকু দেখেছে। তাতে অঙ্গন ওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। রান্নাঘরে ভীষণ ধরনের নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ শঙ্কিত করেছে সাধারণ মানুষদের। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার উপায় নেই।
রান্নাঘরে দেখা গেল প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা স্তূপ রয়েছে। রান্না ঘরে ঢুকতেই রয়েছে একটি মাটির উনুন। চারদিকে জমা করা রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাতা থেকে আরম্ভ করে নোংরা।শিক্ষিকা অর্চনা দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে, উনি জানান, তার কাজের লোকটির তাড়াহুড়ো ছিল,তাই তিনি চলে গেছেন ।তাই সেটি পরিষ্কার করা হয় নি। কিন্তু দেখেই বোঝা গেল, বরা বরের জন্যই ওইরকম নোংরা ওখানে জমে থাকে। ওটি আসলে রান্না ঘর নয়। ওটি গ্রামের বাড়িতে জ্বালানি রাখার ঘর। তবে,ওই শিক্ষিকা তার নিজের ভুল স্বীকার করলেন না।
অর্চনা দেবীর স্কুলটি ওখানে করার কথা নয়। ওনার বক্তব্য, মেয়ের অসুস্থতার জন্য সিডিপিও`কে অনুরোধ করে ওখানে স্কুলটি শুরু করেছেন। তবে অর্চনা দেবীর ওই রান্নাঘরে প্রতিদিন শিশুদের জন্য কতটুকু রান্না হয় ?সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানুষজন। রান্না ঘরের পাশে অর্চনা দেবীর একটি পেল্লায় পাকার বাড়ি রয়েছে। পাকার বাড়ির উঠোনটাও পর্যন্ত কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো। অঙ্গন ওয়াড়ি শিশুদের রান্না ঘরটি ওইরকম করে রাখা কেন? তিনি জানান,সরকার করে দেয়নি তাই।তবে সবই যে অবহেলা।শিক্ষিকার সেই মানসিকতা উপলব্ধি করেছেন এলাকার মানুষজন।
ঐ শিক্ষিকার কাছে প্রতিদিন নির্ধারিত শিশুদের খাবার তৈরি হয় না বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও তিনি যেখান থেকে শিশু খাদ্যের চাল পান। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অনুপাতে চাল আনেন না বলে কিছু মানুষের দাবি। সব থেকে বড় কথা হল, অঙ্গন ওয়াড়ির রান্নাঘর যে রকম অস্বাস্থ্যকর তাতে ছোট ছোট শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট হানিকর বলে মনে করেন এলাকার মানুষজন।
এই বিষয়ে সিডিপিও কাকদ্বীপের সঙ্গে দেখা করবার জন্য তার অফিসে গেলে, তাকে পাওয়া যায়নি। তার অফিসের ওই এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউকেই পাওয়া যায়নি। অফিসে যারা ছিলেন তাদেরকে ছবি দেখালে তারা রীতিমতো চমকে ওঠেন। এলাকার মানুষের দাবী ঐরকম ভাবে অনিয়ম চলতে পারে না। সুপারভাইজার আছেন। তিনিও ঠিকমতো দেখা শোনা করতে আসেন না বলে জানা যায়।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু স্বাস্থ্য এবং শিশু খাদ্য নিয়ে আবার ভয়ংকর ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি সামনে আসা শুরু করেছে।