নিজস্ব প্রতিনিধি,কাকদ্বীপ:সরকার যেখানে 'জল ধরো, জল ভরো' প্রকল্প তৈরি করছে। সেখানে নির্বিচারে ভরাট হচ্ছে পুকুর। জেলার শহর গুলো তাতে কোন ভাবে পিছিয়ে নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের,প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েতের, বিদ্যানগর ( গৌড়ীয় মঠের পেছনে)। রাতের অন্ধকারে আর্থ-মুভার লাগিয়ে বালি দিয়ে রীতিমত চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। অবশ্য পুকুরের মালিক বাসু গণেশের সঙ্গে যোগাযোগ করার করা হলে,তাঁর ছেলে ফোন করবে বলে ফোনটি কেটে দেন । তার ছেলে যদিও ফোন করেন নি।অন্যদিকে কাকদ্বীপ প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপ-প্রধানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ,তারা কেউই ফোন তোলেননি। প্রশ্ন,তাহলে পুকুরটা ভরাট হয়ে যাচ্ছে কি করে?
ভূ -বিজ্ঞানীরা বলছেন মাটির নিচে জল স্তর প্রতি বছরই কয়েক ইঞ্চি করে নামছে। যার ফলে, চাষ যোগ্য মাটিতে মাটির উষ্ণতা এতটাই থাকছে। যাতে চাষের গাছ মারা যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে চাষীদের। প্রতিটি এলাকাতে জলাশয় কমছে। কাণ্ড জ্ঞানহীন কিছু মানুষ প্রতিদিনই কুকুর ভরাট করছে। প্রতি বারই বিভিন্নভাবে অভিযোগ পাওয়া যায়। এও অভিযোগ ,এলাকার রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়ে পুকুর ভরাট করছে কিছু অসাধু মানুষ। কাকদ্বীপের মত ঘনবসতি একটি শহরে ,পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়া মানে রীতিমতো আশ্চর্যের বিষয়।
পঞ্চায়েত এলাকায় রাজনৈতিক কর্মী থেকে আরম্ভ করে, ভোটে জিতে আসা কর্মীরা। সবাই তার এলাকার ইট, কাঠ,পাথর থেকে আরম্ভ করে ,মাঝ রাতে কারও বাড়িতে আলো বেশিক্ষণ জ্বলে থাকারও খোঁজ রাখে। পুকুর ভরাট চলছে। সেটা কেউ জানতে পারছে না! এমনই মজাদার অভিযোগ করছে এলাকার মানুষজন। কেউ কেউ বলছেন, কাকদ্বীপ শহরে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা রয়েছে। যাদের দাপট রয়েছে এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে নাকি মুখ খুললে সমস্যায় পড়তে পারে স্থানীয় মানুষজন।
১৫ই মে রাত্রিবেলা রাতের অন্ধকারে আর্থ মুভার ,ট্রাক্টর ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি লাগিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। সে সময় বিডিও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে , নিজেই ওই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করান। বিডিও এই নিয়ে দুবার ওই পুকুর ভরাট বন্ধ করান।কাকদ্বীপ এলাকার বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরাকে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি জানান,’আমি জানিনা বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

