কালিম্পংয়ে রেশনে নিম্ন মানের চাল সরবরাহের অভিযোগ।অভিযোগ পেয়ে তদন্তে জেলা খাদ্য আধিকারিক।

Spread the love

শঙ্কু সাঁতরা : খাদ্য নিয়ে চির জীবনই দুর্নীতির শিকার হয়েছে পাহাড়ি মানুষেরা। এখনো পর্যন্ত পাহাড়ে মানুষদের সরকারি রেশন বন্টনের মাধ্যমে যে চাল দেওয়া হয়। সে চাল দেখলেই কোন মানুষের ভক্তি আসবে না। কিন্তু পাহাড়ি মানুষেরা ওটাই স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছে। সাধারণত ওটিকে পাখি খাওয়া চাল বলেই অনেকে বলে থাকেন। সেই রকম একটি দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠল।
কালিম্পং আল গাড়ার চারমাইল। চার মাইল, লাভা থেকে আরম্ভ করে বিস্তীর্ণ এলাকায়, যে রেশন বন্টন হয়। সেই রেশন বণ্টনের চাল সাদা ও নিম্ন মানের।যা ওখানকার সাধারণ মানুষরা স্বাভাবিক বলে জানেন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন চালের মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং তারই পরামর্শে রেশনের চাল খুব সুন্দর মনের দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কিভাবে চলছে এই নিম্ন মানের রেশনের চাল?
চার মাইল এলাকার বিরাজ তামাং ।তিনি জানান আলগাড়ার যে রেশন ডিস্ট্রিবিউটার রয়েছে, তিনি ওই চাল সরবরাহ করেন। তবে বিষয়টি গত মাসে পশ্চিমবঙ্গ ফুড এন্ড সাপ্লাইয়ের নজরে আসে। সূত্রের খবর ফুড এন্ড সাপ্লাইয়ের কালিম্পং জেলার খাদ্য আধিকারিক ওই ডিস্ট্রিবিউটার কে বরখাস্ত করেছে। সঙ্গে তার বিরুদ্ধেও নাকি তদন্ত চলছে। তাহলে এতদিন পর্যন্ত নিম্ন মানের চাল কেন সরবরাহ করা হচ্ছিল? কেন খবর ছিল না? সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।


এর আগেও যখন দার্জিলিং কালিম্পং একই জেলা ছিল। তখন জেলা খাদ্য আধিকারিক এর দপ্তর ছিল শিলিগুড়িতে। তখনও দেখা গেছে রেশনে বন্টনের খাদ্য নিয়ে দুর্নীতি। আর এই দুর্নীতির পেছনে দীর্ঘদিনের বেশ কিছু ঘুঘু জড়িয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই সমস্ত দুর্নীতি গ্রস্তদের সঙ্গে খাদ্য দপ্তরের এক শ্রেণীর কর্মীরাও পর্যন্ত জড়িয়ে রয়েছে।
তবে কালিম্পং জেলার মানুষের বক্তব্য, রেশনে দেওয়া ওই চালে কিছুটা হলেও গন্ধ থাকে এবং সেদ্ধ হতে অনেক সময় লাগে। ভাতের স্বাদ খুব একটা ভালো হয় না। তারা কোথায় প্রতিবাদ করবে? সেটাও আজও বুঝতে পারেনি। আর প্রতিবাদ করলে যে ,কিছু হয় না । সেটাও তাদের জানা আছে বলে তারা জানান।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাস থেকেই চালের মান বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *