স্টাফ রিপোর্টার :একেই বলে টক্কর। একসময় দিলীপ ঘোষের নাম ছিল মেশিনগান। মধ্যে অনেকে মনে করেছিল দলীয় সভ্যতার উন্নতির ফলে, সেই মেশিনগান হয়ত গুছিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিবিদ ও নেতা দিলীপ ঘোষ।আবার নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভাবেই গুলি ছোঁড়া শুরু করেছে।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে দিলীপ ঘোষকে অনেকেই পছন্দ করতেন না।দিলীপের নিষ্কলুষ খাটনি ,নিষ্কলুষ রাজনৈতিক সত্তা।সেগুলো নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মেদিনীপুরে রাজনীতি করছিলেন। ছিলেন সাংসদ।
২০২৪ এর লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী নির্বাচনের একেবারে শেষের দিকে এসে দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেন?শোনা যায়, সেই মাটি থেকে সরানোর জন্য তারই দলের আজ কালকার বড় মুখ বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। যার ফলে বর্ধমানে গিয়ে দিলীপ ঘোষ সফল হতে পারেননি। এমনও শোনা যায়,দিলীপ ঘোষ যাতে সফল না হয়। তার জন্য ব্যবস্থা করেছিল তার দলেরই বড় নেতারা।
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে গেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তখনই ছিদ্রান্বেষীরা সেই সুযোগ নিলেন। যদিও দিলীপ ঘোষের ইদানিং কালে কিছু সিদ্ধান্ত যথেষ্ট প্রশ্ন তুলছে। সেই প্রশ্ন উঠেছে তার অনুগামী দলীয় কর্মীদের মধ্যে। তবে দিলীপ ঘোষ যে একদমই ভুল করেননি। সেটা তিনি বারবার বলেছেন। বর্তমানের হিন্দু প্রচারকেরা দিলীপের দীঘায় যাওয়া নিয়ে অনেক কিছু বলছেন। তারা তো এটা বলেই দিতে পারে ,জগন্নাথ উড়িষ্যার ভগবান। তিনি বাঙালির ভবন ভগবান নন।
তবে বোঝা গেল দিলীপ ঘোষ একজন পাক্কা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি যেরকম কাউকে তোয়াক্কা না করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। যেখানে বিরোধী দলের সমর্থকরা দিলীপ ঘোষকে রীতিমতো শারীরিক আক্রমণ করেছিল। সে সময় মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি দিলীপ ঘোষ। তার শরীরে রীতিমত আঘাত করা হয়েছিল।
অন্যদিকে বর্তমান রাজ্যের জোরদার মুখ, তাকে নানা সময় দেখা গেছে গন্ডগোল লাগলেই যে কোনো ভাবে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে গেছেন। মার খেয়েছে দলের অন্যান্য নেতা কর্মীরা। পরে যদিও সেই মার খাওয়া নেতা কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ি দিয়েছেন তিনি। যে রাজনৈতিক নেতারা কর্মীদের মার খাইয়ে বাড়ি ঢুকে যায়। তিনি কত বড় নেতা?
দিলীপ ঘোষের ছায়া সঙ্গী হিসাবে গত বেশ কয়েক বছর ধরে জিয়ারুল হককে দেখা যায়। যখন মুসলিমরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে। তখনোও জিয়ারুল ,দিলীপ ঘোষের সঙ্গ ছাড়েনি, দিলীপ ঘোষকে এক এক করে যেখানে দলের বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বহু বাতি নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই জিয়ারুল তার নিজের কাজ ফেলে পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে জিয়ারুল কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ দিশা কমিটি ‘র সদস্য। তিনি ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ রুরাল ডেভেলপমেন্ট এর সদস্য। তার কাজ ওই সংস্থার অধীনে পশ্চিম বাংলায় যে যে কাজ গুলো হয় ।সেগুলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ গুলিকে ত্বরান্বিত করা।
সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষের সঙ্গে জিয়ারুলকে দীঘায় জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনে দেখা গেছিল। তাকে নিয়ে রীতিমত সোচ্চার হয়ে পড়েছে অনেকে। অন্যদিকে অপরিচিত মুখ জিয়ারুল তার পরিচিতি লাভ করলেন। এর ফলে তার ভবিষ্যতে কতটা লাভ হল।এখন সেটা বুঝতে পারছে না অনেকে। তবে দিলীপ ঘোষের পেছনে লেগে যে সুবিধা হবে না।বুঝে গেছেন অনেকে।
