শঙ্কু সাঁতরা : রাজ্য বলুন বা দেশ বলুন ।দুর্নীতির শিকড় যেখানে রয়েছে, সেটার খোঁজ কেউ করেনা। indinews24.com এর পক্ষ থেকে ঘুরে দেখা গেল অনেক গুলি দুর্নীতির জায়গা। সেই জায়গা গুলি চালাচ্ছে ট্রাক ড্রাইভার, বেসরকারি পরিবহন সংস্থা এবং পুলিশ। যা সাধারণ মানুষের গোচরের বাইরেই থাকছে। রাজ্যে .০০১ শতাংশ মানুষের এই অপরাধ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। যা দেশের সম্পদ, দেশের অর্থনীতি এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর দিয়ে ভয়ংকর আঘাত হানছে।
এবারের ঘুরে দেখা হলদিয়া শিল্পাঞ্চল থেকে ঝাড়গ্রাম ,পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা। আপনারা নিঃসন্দেহে দেখেছেন বহু সময় হাইওয়েতে লরি কিংবা ট্যাংকার রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে। কোন একটা ধাবার সামনে কিংবা পেছনে। ওখানেই বেশ মজার। দীর্ঘদিনের ট্রাক চালক পিন্টু কাপড়ি। তিনি ঘুরিয়ে দেখালেন নানা ডিপো। যেখানে খাবারের জিনিস থেকে আরম্ভ করে শিল্পজাত জিনিস পেট্রোল-ডিজেল বিমানের তেল সমস্ত কিছুই ট্যাঙ্কার কিংবা লরি থেকে চুরি করে নামিয়ে রাখা হয়। ওই ট্যাঙ্কার কিংবা লরি থেকে চুরি করে নামানোর পর সম পরিমাণে ওজনের জিনিসপত্র ,সেগুলোর সঙ্গে মেশানো হয়। যাতে ওই মালপত্রের মালিক তিনি তার পরিমাণ মালপত্র বুঝে পান।
যেমন রিফাইন তেল যখন ট্যাঙ্কারে করে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি দশ চাকার ট্যাঙ্কারে রিফাইন তেল থাকে ১৬ হাজার লিটার পরিবহন করতে পারে। সেখান থেকে ৫০০ লিটার চুরি করে নামিয়ে নিলে, পিন্টু কাপড়ির কথায় – তাতে সম পরিমাণে নুন মিশিয়ে দেওয়া হয়।নুন মেশালে তেলের আয়তন এবং ওজন ঠিক থাকবে। কিন্তু তেলের কোন রংয়ের পরিবর্তন হবে না। যেই কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে ট্রাক মালিক ও ড্রাইভাররা।
অন্যদিকে, রাস্তা তৈরি করতে গেলে যে পিচ ব্যবহার হয়।সেই পিচ ট্যাঙ্কার থেকে কেটে নামিয়ে নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে পিচের আয়তন এবং ওজন ঠিক রাখতে গিয়ে পিচ গরম করে তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে মার্বেল পাউডার। এখানে একটা বড় বিষয়, পিঠের যে আঠালো শক্তি ।সেই শক্তিটা মার্বেল ডাস্ট মেশানোর সঙ্গে সঙ্গে অনেকটাই কমে যায়। যার ফলে আমাদের সরকার থেকে আরম্ভ করে সাধারণ মানুষ ঠকছে প্রতিটা মুহূর্তে। এছাড়াও তো নানা খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে চুরি করা হচ্ছে । তার সঙ্গে সমপরিমাণ অনেক কিছু মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক।
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে যতটুকু দেখা গেল, হাই ওয়ের পাশেই খোলাখুলি ভাবে এই সমস্ত চুরির কাজ চলছে। সূত্রের খবর, প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ এই বিষয়টি সম্বন্ধে সম্পূর্ণটাই অবগত। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও স্বার্থ। ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে সরকার। এই ধরনের চক্র দীর্ঘদিন ধরে চলে আসলেও, এখনো পর্যন্ত কিন্তু এটা চলছেই। আর এর পেছনে রয়েছে মাফিয়া চক্র।
এই ধরনের চক্র বন্ধ না হলে, ভবিষ্যতে মানুষের স্বাস্থ্য আরো খারাপ হয়ে যাবে। দেশের স্বাস্থ্য খারাপের জন্য নিশ্চিত দায়ী বেসরকারি পরিবহন সংস্থা, পুলিশ এবং কিছু রাজনৈতিক নেতা।এদের ভয়ে সাধারণ মানুষের কিছু বলার নেই।সবাই ভয় করে।




indinews24