সরস্বতী পুজোয় স্কুলের ইভটিজিং নিয়ে প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীর বাবাকে বেধড়ক মারধর করা হলো। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার রামরাজাতলা এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই নাবালককে আটক করা হয়েছে। আরেকজন পলাতক।
স্কুল এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোয় দুপুর বেলা বাবার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে এসেছিল দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। বাবার সামনে তিন কিশোর এই ছাত্রীকে ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর বাবা প্রতিবাদ করায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় বছর সতেরোর ওই তিন যুবক। আহত ছাত্রীর বাবা জানতেন ওই তিন নাবালক বেশ কিছুদিন ধরেই তার মেয়েকে উত্তপ্ত করছিল তাই এদিন তিনি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে আসেন। তারপরে ঘটে এমন ঘটনা।
প্রতিবাদ করতে মেয়েটির বাবাকে হাতের বালা দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই তিন কিশোর। আহত অভিভাবককে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। অভিযোগ তোদের মধ্যে দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে অন্যান্য অভিভাবক ও স্থানীয়রা। আরেকজন পলাতক। এনআরআই পুলিশকে খবর দেয়। দুই নাবালকে আটক করে চ্যাটার্জি হাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সন্ধি পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। এদিন টুসি মন্ডল নামে এক অভিভাবিকা বলেন, “যেভাবে মেয়েটির বাবাকে মেরে রক্তাক্ত করে দিল। তা দেখে ভয়ে শিউরে উঠেছি। স্কুলের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আমরা আতঙ্কিত। আমরা চাই ওই আক্রমণকারীদের কঠোর শাস্তি হোক।”