২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার পাঠানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দপ্তর থেকে দলের জেলা সভাপতিদের। সেই ক্যালেন্ডারে অভিষেক ও মমতা দুজনেরই ছবি ছিল বলে তৃণমূল সুত্রে খবর।
এই ক্যালেন্ডার কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল নতুন বছরে শুরুতেই তৃণমূলের অন্দরে। গত ৮ দিনের মাথায় শুক্রবার তা নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ক্যালেন্ডার নিয়ে বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছিল তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দপ্তর থেকেই বিতরণ করা হয়েছিল।
বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লির রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে ক্যালেন্ডার কান্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। কি হয়েছে? দুটি ক্যালেন্ডার এই দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। আমি শুনেছি বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম একটি অ্যাঙ্গেল থেকে খবরটা পরিবেশন করেছে। সেটা সঠিক নয় বলেই আমি মনে করি”। এরপর এই অভিযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , “একটি ক্যালেন্ডার বিশেষ ভাবে ডায়মন্ড হারবারে দেওয়া হয়েছিল । অন্য একটি ক্যালেন্ডার দলের মাধ্যমে পৌঁছেছিল। পরে জানতে পারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি পছন্দ নয় ।তাই তিনি ক্যালেন্ডারের ব্যবহার করতে বারণ করেছেন। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এর মধ্যে কোন বিরোধ নেই।
অভিষেকের দপ্তর থেকেই ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার পাঠানো হয়েছিল জেলার সভাপতিদের। মমতা ও অভিষেক দুজনেরই ছবি ছিল। মমতার ছবি তুলনায় অভিষেকের ছবিটি মাপে অনেক বড় ছিল। এরপর যখন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছায়, তারা জানিয়ে দেন ওই ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা যাবে না।
যদি অফিসে বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন কিছু সংবাদ মাধ্যম যে দৃষ্টিকোণ থেকে খবরটি পরিবেশন করেছিল , তা সঠিক বলে তিনি মনে করেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।