ক্রমশ চাপ বাড়ছে কালীঘাটের মাটিতে। ভূবিজ্ঞানীদের একটি গবেষণাপত্রে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। মাটির তলায় কলকাতা এতটাই ভঙ্গুর যে একের পর এক বহুতল হেলে পড়েছে।
বাঘাযতীন এলাকায় বাড়ি হেলে যাওয়ার পর থেকে শহরের বহু তল গুলির পরিস্থিতি নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়েছে। ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন এই বিপদ তারা বছর ছয়েক আগেই টের পেয়েছিলেন। এবার বিপদের মুখে নবান্ন রয়েছে।
কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে মাটির উপরের স্তর নির্মাণ কার্যের জন্য সঠিক বলে মনে করেন ভূবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে উপরের স্তর ভালো হলেও নিচের স্তরেই বিপদ। একে ভূবিজ্ঞানের ভাষায় কালীঘাট ফর্মেশন বলা হয়। এই এলাকায় মাটি আঠালো এবং থকথকে। এ ঠিক নিচেই রয়েছে ঝুরঝুরে উপাদান। তাই নানা কারণে অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় মাটির ওপর তার প্রভাব পড়েছে।
কলকাতার ভূগর্ভস্থ জলস্থল ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। যে পরিমাণ জল প্রতিদিন মাটির তলা থেকে কলকাতায় তুলে নেওয়া হচ্ছে সেই পরিমাণ জল ভূগর্ভে ফিরে যাচ্ছে না। কারণ পুকুর জলাশয় ভরাট হয়ে বহুতল গড়ে উঠেছে। ফলে মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। কালীঘাট ফর্মেশনের নিচের স্তর তাই আরো ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গঙ্গায় পলি স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ গুণ, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। কলকাতা এবং হাওড়ার মাটির তলা থেকে ক্রমশ বেরিয়ে যেতে থাকা বলি গঙ্গা-বক্ষে গিয়ে জমা পড়েছে।