মালদার রতুয়ায় বোমা বিস্ফোরণে-কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ তৃণমূলের ২ কর্মী। তৃণমূলের উপপ্রধানের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার অভিযুক্তরা। বছরখানেক আগে লস্কর-ই-তৈবা যোগে মহম্মদ কাসিম গুজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মালদায় ভুট্টার ক্ষেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও এক কাসিমের খোঁজ। যদিও এই কাসিম ওই কাসিম নয়, ইনি তৃণমূলের বুথ সভাপতি। শাসকনেতারাই কি ভুট্টার ক্ষেতে সন্ত্রাসের চাষ করছেন? এটা কি বললেন তৃণমূল নেতা? নির্বাচন নেই, বিবাদ নেই, কেন বোমা মজুত জানা নেই! তার মানে নির্বাচন থাকলে তৃণমূল বোমা মজুত করে?
বিস্ফোরণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে উপপ্রধানের বাড়ি থেকে। রতুয়ার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ উপপ্রধান কি অভিযুক্ত বুথ সভাপতিকে ওই আশ্রয়-টাশ্রয় দিচ্ছিলেন? উপপ্রধানের দৃঢ় বিশ্বাস, ধৃতরা বিস্ফোরণে যুক্ত নয়।
বছরের একদম শুরুতে ফিরে গেলে মনে পড়বে, মালদার ইংলিশবাজারে কাউন্সিলর খুনেও তৃণমূলেরই নেতা গ্রেফতার হয়েছিলেন। আর এবার এলাকায় বোমা বিস্ফোরণেও গ্রেফতার তৃণমূলেরই নেতা কর্মীরা। এরাজ্যে বিরোধী বা সন্ত্রাসবাদীর আলাদা করে বোধ হয় দরকার নেই। তৃণমূল মারছে তৃণমূলকে, আবার বোমা মজুতের কাজেও তৃণমূলই হাত পাকাচ্ছে?