মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধিতার নামে চলা তান্ডবের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একাধিক। মৃতদের একজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাদের বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। জাফরাবাদে সপুত্র নিহত হরগোবিন্দের দাসের বাড়িতে।জাফরাবাদে ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এবং কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। দীর্ঘক্ষণ হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়ির বাইরে দাড়িয়ে থাকতে হল তাদের। অবশেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয় কংগ্রেস নেতৃত্বর।যদিও শুভঙ্কর সরকার জানান, এই আগুনকে লাগালো। দেশলাই কোথা থেকে এল। এর পিছনে কারা জড়িত। প্রশাসন কোথায় ছিল বলেই পাল্টা কটাক্ষ করেন তিনি। যদিও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তা নিয়ে কথা বলতে চাননি। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে গিয়ে বলেছিলেন, এখানে হিন্দুদের থেকে মুসলিমদের বেশি ক্ষতি হয়েছিল। তা তিনি বলেছিলেন। তাই আমরা সেই কথার বিরোধিতা করি। সেই কারণেই আমরা কংগ্রেসকে ঢুকতে বাধা দিয়ে ছিলাম। এর আগে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন অধীর চৌধুরীও। ওয়াকফ বিরোধিতার নামে চলা হিংসায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদে গত মঙ্গলবার পরিদর্শনে যান কংগ্রেস নেতা তথা বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সামশেরগঞ্জে জাফরাবাদে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন বাবা-ছেলে। সেদিন পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন অধীর। তবে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান অধীর। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন কংগ্রেস নেতা।
মুর্শিদাবাদে নিহতদের বাড়িতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে বাধা!
